দোরগোড়ায়: চুরকু গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শুনছেন বাঁকুড়ার ডিএম এস অরুণপ্রসাদ (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার পাশে মাটির বাড়ির নিকানো রোয়াকে বসে গ্রামবাসীর সমস্যার কথা শুনলেন প্রশাসনের কর্তারা।
রবিবার সকালে রানিবাঁধের তালবেড়িয়া ড্যাম থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে রাওতোড়া, কান্তাবাইদ, গোবিন্দশোল, চুরকু, ডুবুখানা, সুতান-সহ বেশ কিছু গ্রামে ওই ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’ হয়েছে। ছিলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) রাজু মিশ্র, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, মহকুমাশাসক (খাতড়া) রবি রঞ্জন, রানিবাঁধের তৃণমূল বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি, বিডিও (রানিবাঁধ) শুভদীপ পালিত প্রমুখ।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘জেলাশাসকের দফতরে জনতার দরবার শুরু হয়েছিল। প্রতি সোমবার জেলার মানুষের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের চেষ্টা করা হত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য মার্চ থেকে তা বন্ধ রয়েছে। যোগাযোগ সমস্যার জন্য অনেকে বাঁকুড়ায় গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারছেন না। তাই গ্রামে গিয়ে সে সব শোনা হচ্ছে।’’
এ দিন চুরকু গ্রামে দেখা গেল, রাস্তার পাশে মাটির বাড়ি রোয়াকে বসে রয়েছেন প্রশাসনের কর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের ঘিরে শতাধিক বাসিন্দা। গ্রামের সমস্যা, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ঠিকঠাক পৌঁছচ্ছে কি না— এই সমস্ত ব্যপারে খোঁজ নেওয়া হয়। অভিযোগ ও দাবিদাওয়া খাতায় লিখে নেন প্রশাসনের কর্মীরা।
ওই গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা ভেদুয়াশোল থেকে রাওতোড়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এবং চুরকু থেকে গোবিন্দশোল পর্যন্ত দু’ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার, গ্রামের পুকুর আর চেক ড্যাম সংস্কার প্রভৃতির দাবি তোলেন। ৬০ বছর পেরিয়ে গেলেও বার্ধক্যভাতা পাননি বলে অভিযোগ করেন চুরকু গ্রামের বৃদ্ধা সরস্বতী বাস্কে, অসীমা মান্ডি-সহ বেশ কয়েক জন। চেষ্টা করেও চার বছরের ছেলের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র জোগাড় করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন সুঁচাদ টুডু নামে এক জন।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘গ্রামবাসী যে সমস্যার কথা জানিয়েছেন, সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যঞ্জয় মুর্মু বলেন, ‘‘গ্রামবাসীর দাবি আমরা শুনেছি। জেলা পরিষদের মিটিংয়ে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বিডিও জানান, ওই গ্রামে এখন প্রায় ৯৩ জন বার্ধক্যভাতা, বিধবাভাতা, মানবিক ভাতা পাচ্ছেন। বাংলা আবাস যোজনায় ইতিমধ্যে ৫৬ জন বাড়ি পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁদের বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy