‘নবজোয়ার কর্মসূচি’ রুখতেই তাঁকে সিবিআই তলব করেছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
‘নবজোয়ার কর্মসূচি’ রুখতেই তাঁকে সিবিআই তলব করেছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বাঁকুড়ায় ফিরে এসে নবজোয়ার কর্মসূচিতে মানুষের উন্মাদনা দেখে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ইডি-সিবিআই লাগাতে গিয়ে আসলে হিতে বিপরীত হয়েছে!’’
সিবিআইয়ের ডাকে গত শুক্রবার ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি মাঝপথে থামিয়ে বাঁকুড়ার সোনামুখী ছেড়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। বার্তা দিয়েছিলেন, এর পর আরও বেশি উদ্যম নিয়ে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। শনিবার সিবিআইয়ের দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে বেরিয়েও একই রকম আক্রমণাত্মক দেখিয়েছে তাঁকে। প্রতিশ্রুতি রেখে বাঁকুড়ায় ফিরেই নতুন উদ্যমে দেখা গেল অভিষেককে। সোমবার বেলা ৩টে নাগাদ চপারে করে বাঁকুড়ার ইন্দাস কলেজ মাঠে নামেন তিনি। সেখানে থেকে সড়ক পথে যান ইন্দাস হাই স্কুলের মাঠে। তৃণমূলের সভায় গিয়ে বাজ পড়ে মৃতের পরিবার ও আহত কর্মীদের সঙ্গে সেখানেই দেখা করেন অভিষেক। তাঁদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথাও বলেন। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে সেখান থেকে কোতুলপুর হয়ে জয়পুরের কুম্ভস্থল মোড়ে যান তৃণমূল নেতা।
অভিষেককে দেখার জন্য ইন্দাস থেকে জয়পুর পর্যন্ত সর্বত্রই উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। রাস্তার ধারে কাতারে কাতারে মানুষের জমায়েত দেখে আবেগাপ্লুত দেখায় তৃণমূল সাংসদকে। নিজের গাড়ির ছাদে উঠে কখনও দলীয় পতাকা নাড়তে, আবার জনতার উদ্দেশে গোলাপের পাপড়ি ছুড়ে দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর পর রাতে অধিবেশন কর্মসূচিতে যান অভিষেক। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমি বলেছিলাম, খুব গুরুতর অসুস্থ না হলে আমি নবজোয়ার যাত্রার ৬০ দিন কলকাতায় ফিরব না। ইডি-সিবিআই লাগাতে গিয়ে আসলে হিতে বিপরীত হয়েছে। দু’দিন কর্মসূচি বন্ধ থাকায় মানুষের উৎসাহ তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে। সারা রাস্তা লোকে লোকারণ্য। ১০০ জনের মধ্যে ৩০ জন দলীয় কর্মী-সমর্থক হলে বাকি ৭০ জন সাধারণ মানুষ।’’ দলীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার ৪৪-৪৫ ডিগ্রি গরমে যাঁরা বেরিয়ে আসছেন, তাঁরা আপনাকে আমাকে দেখতে আসছেন না। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েই আসছেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যে খাল কেটে কুমিরকে আনা হয়েছে, সেই খালে ধাক্কা দিয়ে কুমিরকে ফেলে দেবেন।’’
সোমবারের কর্মসূচিতে মানুষের ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও। দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি চক্রান্ত করে ইডি, সিবিআইকে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দমাতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ বুঝতে পারছে, সবই ভুয়ো! তাই নবজোয়ার যাত্রায় আগে মানুষের যে উচ্ছ্বাস ছিল, এ দিন তার চেয়ে কয়েকশো গুণ উচ্ছ্বাস নিয়ে কাতারে কাতারে মানুষ হাজির হয়েছিলেন রাস্তার দু’ধারে। এই ভিড় দেখে বিজেপি কার্যত ভয় পেয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy