Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Lockup death

লক-আপে মৃত লাভপুরের যুবক

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরাজুলের সঙ্গে লক-আপে আরও দুই ধৃত ছিল। রাতে পুলিশের দেওয়া খাবার কিছুটা খান তিনি। সারা রাত তাঁকে বসে থাকতে দেখা যায়।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৫১
Share: Save:

ধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল পুলিশ লক-আপে। পুলিশ সূত্রের দাবি, কেতুগ্রাম থানায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মিরাজুল ইসলাম (৩৩) নামে ওই ধৃত। বৃহস্পতিবার ভোরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানানো হয়। এ দিন বিকেলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রশাসনের এক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহের ময়না-তদন্ত হয়।পুলিশ জানায়, মৃতের বাড়ি বীরভূমের লাভপুরের কাজিপাড়ায়। পুলিশ লক-আপে মৃত্যু নিয়ে পরিবারের তরফে এ দিন কোনও অভিযোগ করা হয়নি। তবে সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত হচ্ছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরাজুল একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কাজ করতেন। অল্প বয়সে রোগাক্রান্ত হওয়ায় তাঁর দুই পায়ে সমস্যা ছিল। স্থানীয় নানা সূত্রের দাবি, বছরখানেক আগে তিনি কেতুগ্রামের হাটমুড় গ্রামের স্বামী বিচ্ছিন্না এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে দু’জনের পরিবারের মধ্যে অশান্তিও হয়। পরিবার সূত্রের দাবি, মাস তিনেক আগে থেকে তাঁদের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। বুধবার মহিলা কেতুগ্রাম থানায় মিরাজুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। ভয় দেখিয়ে অশ্লীল ভিডিয়ো তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ জানান। পুলিশ জানায়, সে রাতেই মিরাজুলকে কেতুগ্রামের কুর্মডাঙা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরাজুলের সঙ্গে লক-আপে আরও দুই ধৃত ছিল। রাতে পুলিশের দেওয়া খাবার কিছুটা খান তিনি। সারা রাত তাঁকে বসে থাকতে দেখা যায়। পুলিশের দাবি, অন্য দুই ধৃত ঘুমিয়ে পড়লে ভোর ৪টে নাগাদ মিরাজুল পরনের ট্র্যাকসুটের দড়ি খুলে লক-আপের একটি উঁচু গ্রিলে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কর্তব্যরত রক্ষীদের তা নজরে পড়তেই লক-আপ খুলে তাঁকে প্রথমে লাগোয়া কেতুগ্রাম ২ ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানানো হয়।এ দিন হাসপাতালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে মৃতের পিসতুতো দাদা সরফরাজ একরাম মির্জা দাবি করেন, ‘‘ভাই এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। পরে ওই মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ করেন। মহিলা ভাইকে মারধরও করেছেন। তাতেই ভাই মানসিক অবসাদে ভুগছিল। গ্রেফতার হয়ে থানার লক আপে আত্মহত্যা করেছে বলে জেনেছি। এ নিয়ে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Labhpur Death Lockup Death Labpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy