Advertisement
২৫ অক্টোবর ২০২৪
Birbhum

বীরভূমে রাস্তার ধারে পড়ে যুবকের রক্তাক্ত দেহ, শরীরে গুলির চিহ্ন! পুরনো শত্রুতা থেকে খুন? তদন্তে পুলিশ

দিন কয়েক আগে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছিল মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। তার পরই এই ঘটনা।

A man found death in Birbhum’s Mohammedbazar area

শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৪৩
Share: Save:

রাতে মাসির বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে খাওয়াদাওয়া করে আর নিজের বাড়ি ফেরেননি। শুক্রবার সকালে ওই যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল রাস্তার ধারে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বীরভূমের মহম্মদবাজারের সারেন্ডা গ্রাম এলাকায়। অভিযোগ, কেউ বা কারা ওই যুবককে গুলি করে খুন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সুজয় মণ্ডল (৩৫)। চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পুরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধুর সঙ্গে মসির বাড়ি যান সুজয়। সেখানেই খাওয়াদাওয়া করেন। বেশি রাত হয়ে যাওয়ায় মাসি তাঁর বাড়িতে থেকে যেতে বলেন। কিন্তু সুজয় বাড়ি ফিরবেন বলে বেরিয়ে যান।

সারা রাত বাড়ি ফেরেননি সুজয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয় এক ব্যক্তি কাজে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে চিনতে পেরে খবর দেন বাড়িতে। মৃতের পরিবার এবং অন্য গ্রামবাসীরা আসেন ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে পুলিশও আসে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে তারা। পুলিশে প্রাথমিক অনুমান, গুলি করে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে।

মৃতের বাবা সৈরেন মণ্ডল জানান, কারা তাঁর ছেলেকে খুন করল, তা জানা নেই। তবে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে সুজয়কে গ্রেফতার করেছিল মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। তার পরই এই ঘটনা। মৃতের সঙ্গে অপরাধ জগতের কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে তাঁর বন্ধু এবং পরিবার পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদও করছেন তাঁরা। সুজয়ের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

অন্য বিষয়গুলি:

Birbhum Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE