প্রতীকী ছবি।
আট মাস আগে বিধানসভা নির্বাচনে রামপুরহাট পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ডে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তবে পুরসভা নির্বাচনে ১০টি ওয়ার্ডেই লড়াই থেকে ছিটকে গেল বিজেপি।
পুরসভা নির্বাচন কমিটি গঠন থেকে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে রামপুরহাটে নানা ক্ষোভ বিক্ষোভের মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন স্ক্রুটিনিতে বাতিল হয়। বাকি ৫, ৬, ৭, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৫, ১৮ নম্বর মিলিয়ে মোট ৯টি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীরা শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে নিজেদের দখলে থাকা ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও মনোনয়ন তুলে নেন বিজেপি প্রার্থী। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ লগ্নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সোনালি গুপ্তকে কোলে দু’মাসের ছেলে, স্বামী ও সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে তৃণমূল কর্মীদের ঘেরা টোপে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
সোনালি বলেন, ‘‘যখন পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল তখন মনোনয়ন জমা করেছিলাম। পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পরিবার নিয়ে বাইরে চলে যেতে হয়েছিল। পরিস্থিতির পরিবর্তনে পারিপার্শ্বিক চাপে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি।’’ ‘পরিস্থিতির চাপে’ ২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী আনোয়ার হোসেনও মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। তবে বেশিরভাগ ওয়ার্ডে সিপিএম, কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরে সার্বিক ভাবে দেখা যায় রামপুরহাট পুরসভায় তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪, ৯, ১৩, ১৫, ১৮— এই পাঁচটি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে। বিজেপি প্রার্থীরা যে সমস্ত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেগুলি হল ১, ২, ৩, ৮, ১০, ১৪, ১৬। তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সরাসরি দ্বিমুখী লড়াই হবে একমাত্র ২ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূলের সঙ্গে বামফ্রণ্ট এবং বাম সমর্থিত প্রার্থীদের ৫, ৬, ৭, ১২, ওয়ার্ডগুলিতে দ্বিমুখী লড়াই হবে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার বিদায়ী প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন মীনাক্ষী ভকতের সঙ্গে সরাসরি বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী ভাস্বতী গুহ দাসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সরাসরি লড়াই হবে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান সৈয়দ সিরাজ জিম্মির সঙ্গে প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর অমল শেখের লড়াই হবে। বাকি ওয়ার্ডগুলিতে কোথাও ত্রিমুখী কোথাও আবার চর্তুমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রামপুরহাট পুরসভা তৃণমূল যে গঠন করছে এটা সুনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। সব ক’টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হবেন এ ব্যপারে আমরা সম্পূর্ণরূপে আশাবাদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy