বাড়ি ফেরার পথে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে খবর, অপমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই ছাত্রী। তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। রবিবার সকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই ছাত্রী ভর্তি হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, বাড়ির অদূরে মেলা চলছিল। শনিবার নিজের স্কুটিতে চড়ে সেই মেলা দেখতে যান ওই ছাত্রী। অভিযোগ, সেখান ফেরার পথে রাস্তার মাঝে চার জন যুবক তাঁকে আটকান। এর পর তাঁর মুখে কোনও গ্যাস দিয়ে তাঁকে অজ্ঞান করে দেওয়া হয়। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, রবিবার সকালে ঘুম ভাঙলে তিনি বুঝতে পারেন পড়ে রয়েছেন একটি ফাঁকা এলাকায়। পাশে তাঁর স্কুটি এবং মোবাইলও। এর পর তিনি স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
আরও পড়ুন:
-
পুজোর আগে আবারও দুর্যোগ? বৃষ্টি ভাসাতে পারে রবিবারের কেনাকাটা, নিম্নচাপ ঘনাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে
-
মোহালি পৌঁছলেন রোহিতরা, বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে কী পরিকল্পনা ভারতের
-
সহপাঠীদের স্নানের ভিডিয়ো ছড়িয়ে দিলেন ছাত্রী, চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের আট ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, বিক্ষোভ
-
স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া আর হল না মালাডের শিক্ষিকার, স্কুলের লিফট কেড়ে নিল জেনেলকে
বাড়ি ফেরার পর ওই ছাত্রী বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান। এর পর তিনি ঘরের সিলিংয়ে ওড়না লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও পরিবারের দাবি। পরিবারের লোক তাঁকে নামিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁকে নিয়ে আসা হয় মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি হাসপাতালের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘‘বিশ্বকর্মা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল আমার মেয়ে। সন্ধেয় বাড়ি ফেরার কথা ছিল। বাড়িতে বলে গিয়েছিল, এক বান্ধবীর সঙ্গে বেরোবে। কিন্তু ও ফেরেনি। সারারাত ওকে ফোন করেছি। সকালে দেখি, ও রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে ফিরেছে। ওর জামা ছেঁড়া ছিল। ও জানিয়েছে, ওকে চারটে ছেলে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। ও কাউকে চিনতে পারেনি।’’