বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ অব্যাহত। নিজস্ব ছবি।
সাত পড়ুয়ার সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন তীব্রতর হচ্ছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার সেখানে ২৪ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। পাপাশাশি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিও তুলছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।
সোমবার সকাল থেকে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বিভিন্ন ভবনে গিয়ে সাধারণ পড়ুয়াদের ক্লাস না করার আবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সেই আবেদনে অনেকেই সাড়া দিয়েছেন। সব ক’টি ভবন বন্ধ না হলেও, বেশ কয়েকটি ভবনে ইতিমধ্যেই পঠনপাঠনে ছেদ পড়েছে। কয়েকটি বিভাগে ইন্টারনাল পরীক্ষা ছিল। সাধারণ পড়ুয়াদের একাংশকে সেই পরীক্ষা দিতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে নিঃস্বার্থ ভাবে সাত পড়ুয়ার সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সঙ্গে যে ভাবে অধ্যাপকদের শোকজ করা হচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে। পদত্যাগ করতে হবে উপাচার্যকেও।
গত ২৩ নভেম্বর বেশ কয়েকটি দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কথা বলতে যান কিছু পড়ুয়া। নিরাপত্তারক্ষীরা ঢুকতে বাধা দিলে পড়ুয়াদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতাহাতি বেধে যায়। এর পরেই পড়ুয়াদের হাতে ঘেরাও হন উপাচার্য। প্রায় ১০ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পর নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের সাহায্যে উপাচার্যকে মুক্ত করা হয়। সেই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যও। তিনি পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উস্কানি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলেন কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যকে বাংলোতে বন্দি রেখে পড়ুয়ারা আন্দোলন চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
ওই ঘটনায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ গত ডিসেম্বর মাসে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে অধ্যাপক সুদীপ্তকে বরখাস্ত ও সাত জন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার বিরুদ্ধেই সম্প্রতি আন্দোলনে নামেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশ। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২৩ নভেম্বরের ঘটনার জন্য আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে তাঁদের শাস্তি মকুব করে পুনরায় পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy