ঝড়ে উড়ে গিয়েছে বাড়ির চাল। —নিজস্ব চিত্র।
কালবৈশাখীতে উড়ে গিয়েছে একের পর এক বাড়ির চাল। তাই খোলা আকাশের নীচে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের মেট্যাপাড়া এবং ঝাটিপাহাড়ি এলাকার ২২টি পরিবার। গাছতলাতেই চলছে রান্নাবান্না।
মঙ্গলবার রাতে মিনিট দশেকের জন্য কালবৈশাখী হয় ছাতনার মেট্যাপাড়া এবং ঝাটিপাহাড়ি এলাকায়। তার জেরে লন্ডভন্ড হয়ে যায় এলাকা। বেশ কয়েকটি বাড়ির অ্যাসবেস্টসের চাল উড়ে যায়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, ছাতনার ২২টি বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে কালবৈশাখীতে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি বাংলার আবাস যোজনায় নির্মিত। দুর্যোগের জেরে ওই পরিবারগুলি এখন খোলা আকাশের নীচেই দিন কাটাচ্ছে।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাসিবুল খাঁ নামে এক ব্যক্তির বাড়ি। তিনি বলেন, “রাতে ঝড়ের তীব্রতা এতটাই ছিল যে মেট্যাপাড়া এলাকারই ২০-২২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ির হাল এমন হয়েছে যে সেই বাড়িতে দিনের বেলা রান্নাবান্না করাও সম্ভব নয়। অগত্যা পরিবার নিয়ে আমরা গাছতলায় দিন কাটাচ্ছি।’’
মেট্যাপাড়া এলাকার বাসিন্দা জলধর বাউড়ি বাড়ি পেয়েছিলেন বাংলার আবাস যোজনায়। মঙ্গলবার রাতে সেই বাড়ির চাল উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে কালবৈশাখী। জলধর বলেন, “বাড়ির চালা উড়ে যাওয়ার পর আমরা ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে গাছতলায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। সেখানেই আছি। বাড়ি মেরামত করার মতো ক্ষমতা আমার নেই। আবার যদি বৃষ্টি আসে তা হলে পরিবার নিয়ে কোথায় আশ্রয় নেব, জানি না।’’
শুধু ঘরবাড়ি নয়, ছাতনার একাধিক এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গিয়েছে। তার ছিঁড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার রাতভর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল প্রায় গোটা ছাতনা ব্লক। বুধবার সকাল থেকে অবশ্য পরিষেবা চালু হয়েছে। ছাতনা ব্লকের বিডিও শিশুতোষ প্রামাণিক বলেন, “কিছু দিন আগে ঝড়ে ছাতনা ব্লকে মোট ৩৭টি বাড়ি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ফের ঝড়ে ২২টি বাড়ির চাল উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল-সহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy