E-Paper

অপহরণ করে খুন, ধৃত দুই

বিবার সন্ধ্যায় হাতিম বাইকে ঝাড়খণ্ডের ঝিমড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রসুলডি গ্রামের অদূরে কবরস্থানের কাছে দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪ ০৯:৪৫
Share
Save

বলরামপুরের প্রৌঢ়কে অপহরণ করে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে গিয়ে খুন করে কালভার্টের তলায় ফেলে দিয়েছিল আততায়ীরা। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার সকালে রাঁচীর দশম ফলস থানার কালভার্টের কাছ থেকে হাতিম আনসারির (৫৪) দেহ উদ্ধার করে বলরামপুর থানার পুলিশ। তাঁর বাড়ি স্থানীয় রসুলডি গ্রামে। অপহরণ করে খুন এবং প্রমাণ লোপাটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

ধৃতরা হল ইমারুল হক আনসারি ওরফে সোনু ও আলম আনসারি। তাদের বাড়ি বলরামপুর থানার রসুলডিতে হলেও বর্তমানে জামশেদপুরের আজাদনগরে থাকে। মঙ্গলবার তাদের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশ সুপার জানান, এই ঘটনায় আরও কয়েকজনের যোগ পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় হাতিম বাইকে ঝাড়খণ্ডের ঝিমড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রসুলডি গ্রামের অদূরে কবরস্থানের কাছে দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। গ্রামের এক বাসিন্দা সেই দৃশ্য দেখে হাতিমের পরিবারকে জানান। তিনি অপহরণকারীদের গাড়ির নম্বরও জানান। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিনই বলরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অপহৃতের খোঁজ না মেলায় সোমবার বিকেলে বলরামপুর-বাঘমুণ্ডি রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসী। পরে পুলিশের আশ্বাসে তাঁরা অবরোধ তোলেন।

জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘তদন্তে নেমে বলরামপুর থানার পুলিশ দেখে, অপহরণকারীরা জামশেদপুরের দিকে গিয়েছে। পরে তারা ধানবাদের দিকেও যায়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তারা হাতিম আনসারিকে শ্বাসরোধ করে মেরে প্রমাণ লোপাটের জন্য ঝাড়খণ্ডের দশম ফলস থানা এলাকার একটি কালভার্টে ফেলে দিয়েছে। এদিন সেখান থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়।’’

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই খুনের ঘটনা। নিহতের ভাই খুরশিদ আলম এ দিন বলেন, ‘‘বড় কোনও বিবাদ কোনওদিন হয়নি। এর আগে বাড়ি নির্মাণের জন্য জমি নিয়ে সামান্য বিবাদ হয়েছিল। তার জন্য দাদাকে খুন করা হবে ভাবতেই পারছি না। দোষীদের ফাঁসি চাই। দাদার বাড়িতে বৃদ্ধা মা, একটি বিবাহযোগ্য মেয়ে, একটি ছেলে ও স্ত্রী রয়েছেন। এখন তাঁদের কী হবে?’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

purulia

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।