দুর্ঘটনার পর গাছের ডাল ফেলে রাস্তা অবরোধ স্থানীয়দের। — নিজস্ব চিত্র।
বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মহিলা-সহ দু’জনের। ঘটনায় আহত আরও এক মহিলা। বৃহস্পতিবার শালতোড়া থেকে মধুকুণ্ডা যাওয়ার রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার জহরবোনা গ্রামের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম তপন মণ্ডল (৫৫) ও আগমনী তন্তুবায় (৪৫)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জহরবোনা গ্রামের অদূরে শালতোড়া-মধুকুণ্ডা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে তপনের সঙ্গে কথা বলছিলেন আগমনী এবং তাঁর শাশুড়ি। তপন বাইকে ছিলেন। আচমকাই শালতোড়ার দিক থেকে মধুকুণ্ডাগামী সিমেন্ট বহনকারী একটি ফাঁকা লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিন জনকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তপনের। স্থানীয়রা ছুটে এসে গুরুতর আহত আগমনী ও তাঁর শাশুড়িকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সেখানে আগমনীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘাতক লরির চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে চালককে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। মারের চোটে চালক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে শালতোড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবিলম্বে ওই রাস্তায় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে রাস্তার উপর গাছের শুকনো ডাল ফেলে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, যানবাহনের বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা মজুত থাকলে আজ এ ভাবে দু’জনকে প্রাণ হারাতে হত না!
মৃত তপনের আত্মীয় জয়দেব গরাই বলেন, ‘‘এই দুর্ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে এবং যিনি আহত হয়েছেন, সকলেই দরিদ্র পরিবারের। পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি, এই এলাকায় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশ-প্রশাসনকে।’’ অবরোধকারী সুচরিতা তন্তুবায় বলেন, ‘‘এই রাস্তা দিয়ে সারা দিন শতাধিক লরি চলাচল করে। বেশির ভাগ লরিচালকই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালান। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে এ ব্যাপারে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন, ‘‘লরি চালানোর সময় চালকের ঝিমুনি চলে এসেছিল। তার জেরেই লরির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। তার পরেই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পর লরির চালককে মারধর করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত একজন ও মারধরে আহত লরিচালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy