শান্তিনিকেতনে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা রেণু সরকার খুনের মামলার রায় বেরোবে আজ, বৃহস্পতিবার। মামলার সরকারি আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছেন।”
২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে শান্তিনিকেতনের বাগানপাড়ায় নিজের বাড়ির দোতলার ঘরে খুন হন কলকাতার মহাদেবী বিড়লা গালর্স স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রেণু সরকার (৭৮)। লোহার রড দিয়ে ওই বৃদ্ধার নাকে আঘাত করা হয়েছিল। ওই খুনের ঘটনায় নিহতের বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদার, এলাকার দাগি দুষ্কৃতী মঙ্গল সাহানি ও তার শাগরেদ পিন্টু দাস গ্রেফতার হয়। অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুনর্গঠনের সময় মঙ্গলই জানায় খুনে ব্যবহৃত রডটি পড়ে আছে রেণুদেবীর বাড়ি লাগোয়া পরিত্যক্ত জমিতে। পুলিশ তা উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি ছিল, জেরার মুখে রেণুদেবীকে লোহার রড দিয়ে খুন করার কথা কবুল করেছে মঙ্গল। অন্য দু’জন খুনের ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ জড়িত বলেও পুলিশের দাবি।
সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালীনই বর্ধমান জেল থেকে কারারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালায় মূল অভিযুক্ত মঙ্গল। তার আগে সিউড়ি সদর হাসপাতাল থেকেও পালানোর চেষ্টা করেছিল সে। ২০১২ সালের ১৫ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে সিআইডি-র হাতে ধরা পড়ে মঙ্গল। তিন অভিযুক্তই এখন জেল হাজতে।
গত ২৮ মার্চ বোলপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজের এজলাসে অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত পক্ষের মধ্যে সওয়াল-জবাব হয়েছে। তাতে অংশ নেন সরকার পক্ষের আইনজীবী তপনকুমার দে এবং অভিযুক্ত উজ্জ্বল তপাদারের আইনজীবী সৈয়দ শাহিদুল আরেফিন, মঙ্গল সাহানির আইনজীবী কার্তিক চক্রবর্তী ও পিন্টু দাসের আইনজীবী নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শাহিদুল আরেফিন জানান, এই মামলায় নিহত রেণুদেবীর ছেলে প্রবাল সরকার, মেয়ে অদিতি সরকার, ঘটনার তদন্তকারী অফিসার দেবাশিস ঘোষ-সহ ৩১ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত। শুনানি চলাকালীন একাধিক সাক্ষীকে বিরূপও ঘোষণা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy