বুথের মধ্যে শাসকদলের এক নেত্রীর অনধিকার ঘোরাঘুরি করার অভিযোগ পেয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেল।
বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের মণিকা মাহাতো ঘাটবেড়া বুথের ভোটার নয়। দলের এজেন্ট হয়েও তিনি সেখানে যাননি। তা সত্ত্বেও তাঁকে বুথের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে বুধবার টেলিভিশনের পর্দায় অনেকেই দেখেছিলেন। ভোটের দিনই এই বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনে কংগ্রেস। বলরামপুর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি সুভাষ দাস বলেন, “বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঘাটবেড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন। আমরা প্রথমে বিষয়টি বলরামপুরের বিডিওকে জানাই। পরে এই বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছি।” এই অভিযোগ পাওয়ার পরে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সুকেশকুমার মাইতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই বুথের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, মণিকাদেবী ওই বুথের ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে ওই নিরাপত্তা রক্ষীরা কী ভাবে ভিতরে ঢুকতে দিলেন তা জানতে চাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার মণিকাদেবীর বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে এফআইআর করলেন বিডিও। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মণিকা মাহাতোর বিরুদ্ধে বলরামপুরের বিডিও অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বার পুলিশ তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে।” জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে যা উঠে আসবে তার ভিত্তিতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিনও চেষ্টা করে মণিকাদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে ফোন করা হলে, জানানো হয় তিনি বাড়িতে নেই। তবে বলরামপুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো বলেন, “বিষয়টিকে একটু বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। তিনি মোটেই বুথের ভিতরে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছিলেন না। তিনি ওই প্রৃকতির মানুষই নয়। এলাকার মানুষজন তা ভালো করে চেনেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy