পূর্ণেন্দু মাজি। — ফাইল চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক হিসাবে আবারও দায়িত্ব দেওয়া হল পূর্ণেন্দু মাজিকে। ভোটের সময় এই জেলার জেলাশাসককে বদল করেছিল নির্বাচন কমিশন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে জয়োশী দাশগুপ্তকে জেলাশাসক করা হয়েছিল। নির্বাচন আচরণবিধি উঠতেই জেলাশাসক বদলের তোড়জোড় শুরু করে নবান্ন। রবিবার নবান্ন জানিয়ে দেয়, জয়োশীকে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তার পরই প্রশাসনিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক কাকে করা হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, শুভেন্দুর জেলায় জেলাশাসক করা হচ্ছে পূর্ণেন্দুকে।
ভোট চলাকালীন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক তনভীর আজমলকে সরিয়ে জয়োশীকে দায়িত্ব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। রবিবার জয়োশীকে নবান্নে আনার কথা জানানো হলেও নতুন জেলাশাসক কে হবেন, তা স্পষ্ট করা হয়নি। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্নের তরফে জানানো হয় পূর্ণেন্দু মাজিকে ওই জেলার নতুন জেলাশাসক করা হয়েছে।
পূর্ণেন্দু আগে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ছিলেন। তবে ২০২৩ সালে নবান্ন রুটিন বদলি করে। পূর্ণেন্দুকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক করা হয়। তাঁর পরিবর্তে তনভীরকে দায়িত্ব দেওয়া হয় শুভেন্দুর জেলার। ভোটের মুখে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, আরও অনেক জেলার পুলিশ এবং প্রশাসনিক পদে কমিশন রদবদল করে।
কমিশনের এই রদবদল নিয়ে ভোটপ্রচারে গিয়ে বার বার অসন্তোষ প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকি, কালীঘাটের বৈঠক শেষে শনিবার কাঁথি ও তমলুকে হারের জন্য নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই আসনগুলিতে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও আইসিদের সরিয়ে দিয়ে ‘ষড়যন্ত্র’ করে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের পরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের রদবদলের ইঙ্গিত মিলেছিল। ঠিক তার পর দিনই সরিয়ে দেওয়া হল জেলাশাসককে। সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নতুন জেলাশাসক নিয়োগের কথা জানিয়ে দিল নবান্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy