যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরে সেনা পোশাকে ও টুপি পরে কিছু যুবক-যুবতীর বিশ্ববিদ্যালয় ঢোকা নিয়ে মামলা হয়েছে।
রবিবার আদালতে সেই মামলায় সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষালের দাবি, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, যেখানে গুরুতর জখম অবস্থায় ছাত্রটি মাটিতে পড়েছিল, সেখানকার কোনও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের পরিকল্পনা করে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন ওই যুবক-যুবতীরা। যদিও ঘটনার পর থেকেই ওই যুবক-যুবতীদের তরফে দাবি করা হয়, তাঁরা ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী। ঘটনার কথা শুনে পরিদর্শনে এসেছিলেন। কিন্তু, সেনার পোশাকে কেন, তার সদুত্তর মেলেনি। পুলিশ এ নিয়ে মামলা করে। শনিবার ওই সংস্থার কর্তা কাজি সাদেক হোসেন গ্রেফতার হন।
রবিবার আদালতে সৌরীন বলেন, ‘‘সাদিক তদন্তে সহযোগিতা করেননি। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করে সেনাবাহিনীর একটি পরিচয়পত্র এবং কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে।’’ সাদিকের আইনজীবী বলেন, ‘‘উনি বৃদ্ধ। সমাজসেবী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ওখানে গিয়েছিলেন। কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্য ছিল না।’’ বিচারক ৩ অগস্ট পর্যন্ত সাদিকের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীকে বদনাম করার জন্য এখানে একটা চক্র কাজ করছে। কিছু লোককে সেনাবাহিনীর নকল ড্রেস পরিয়ে নিয়ে চলে এসেছে। রাজ্য সরকার, বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেস ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় শত্রু। সেনাবাহিনীর উচিত তদন্ত করে দেখা।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘সরকার নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য সব রকম চেষ্টা করবে। ঘটনার (ছাত্রমৃত্যুর) পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হল না কেন? কী ভাবে ঘটনা ঘটেছে, মানুষ জানতে পারল না কেন? অপরাধী কে, জানতে পারলাম না কেন? এই সরকারের প্রতি মানুষের ভরসা হারিয়ে যাচ্ছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)