পিএসসি ভবনের সামনে ধর্নায় বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবারের নিজস্ব চিত্র।
‘কাটমানি’ ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভের জেরে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-কর্মীদের নাজেহাল অবস্থা। এ বার চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রেও ‘কাটমানি’ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল। ‘কাটমানি’ ইস্যুতে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ এ বার পথে নামলেন। ওই চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, পিএসসি-র মাধ্যমে যাঁদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের কাছ থেকেও ‘কাটমানি’ নেওয়া হচ্ছে। আর যাঁরা ‘কাটমানি’ দিতে পারছেন না, তাঁদের চাকরি জুটছে না।
শুক্রবার সকালে এই ‘কাটমানি’ ইস্যুতে দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারীর কাছে মুদিয়ালিতে পিএসসি ভবন ঘেরাও করেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে যুবক-যুবতীরা এ দিন পিএসসি-র বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এমনকি তাঁরা ধর্নাতেও বসেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৮ সালে হওয়া পিএসসি-র একটি পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৩ জন ইঞ্জিনিয়ার পাশ করেন। তাঁদের প্রত্যেককেই ইন্টারভিউয়ের জন্যে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ তার মধ্যে মাত্র ১২০ জন চাকরি পান। যদি পদ খালি না থাকে, তা হলে কেন ২ হাজার ৫৩ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্যে ডাকা হল? এই প্রশ্ন তুলে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি ওই ইঞ্জনিয়ারদের একাংশের।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর কাটমানি নির্দেশ থেকে গ্রিভান্স সেল, পিছনে কি প্রশান্ত কিশোরের কৌশল?
আরও পড়ুন- ‘মানিব্যাক’! বীরভূমে সওয়া দু’লাখেরও বেশি ‘কাটমানি’ ফেরত দিলেন তৃণমূল নেতা
পিএসসি-র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ওই ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদ নিশ্চয় খালি ছিল বলেই এত জনকে ডাকা হয়েছিল। কোন হিসাবের ভিত্তিতে মাত্র ১২০ জনকে নেওয়া হল? কেন বাকিদের প্যানেলে রাখা হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলে বিষয়টি স্পষ্ট করে পিএসসির তরফে জানানোর দাবি জানান তাঁরা। যদি তা না হয়, তবে বড় আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ বিষয়ে পিএসসি-র তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy