সংশোধিত ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে বুধবারেও।
বীরভূমের পাইকর, নলহাটি ও মাড়গ্রামে বিক্ষোভ-মিছিল হয়। বিক্ষোভকারীদের একাংশ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে নলহাটি বাস স্ট্যান্ডে চলে এলে, জাতীয় সড়ক কিছু ক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সাংসদ শতাব্দী রায় কেন লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে ভোটদানে বিরত ছিলেন, প্রশ্ন তোলা হয় নলহাটির মিছিল থেকে। এ বিষয়ে শতাব্দীর প্রতিক্রিয়া, “আমি আগে জবাব দিয়েছি। তার পরেও কেন প্রশ্ন করা হচ্ছে! দলের কেউ তেমন বলে থাকলে, সামলে নেব।”
এ দিন বিকেলে নন্দীগ্রাম বাস স্ট্যান্ডের সামনে সভা করে ‘আইমা’ (অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন)। ওই সভা থেকে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বলা হয়, “সংখ্যালঘুদের উপরে ভিত্তি করে রাজনীতি করলেন। আর বিজেপিতে গিয়ে সংখ্যালঘুরা এখন পাকিস্তানি বাহিনী হয়ে গেল!”
সংশোধিত ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে মুর্শিদাবাদের গোলমালে নিহত বাবা-ছেলের স্মরণে নন্দীগ্রামে বিজেপির মিছিল থেকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জেহাদিরা কত দূর যেতে পারে নন্দীগ্রামের হিন্দুরা, আমরা দেখেছি।”
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে মিছিল ও সভা করে বাঁকুড়া জেলা ইমাম-মোয়াজ্জিম উলামা সংগঠন। বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছোট ছোট মিছিল এসে শালদহ মোড়ে জড়ো হয়। সেখানেই সভা হয়। উদ্যোক্তারা সংশোধিত ওয়াকফ আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর হুঁশিয়ারি দেন।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা এবং ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে এ দিন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে কংগ্রেস ভবন থেকে শুরু করে থানা মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন দলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে দল। কোচবিহারের মাথাভাঙাতেও ওই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে পথসভা করে কংগ্রেস।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)