Advertisement
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Midnapore Medical College

‘সন্দীপ-ঘনিষ্ঠের’ উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ১২ ঘণ্টা ঘেরাও, সোমে বৈঠক

কেন ২২ ঘণ্টার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হল, সেই প্রশ্ন সামনে রেখে শনিবার দুপুর ২টো থেকে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হল হাসপাতালের ডিন এবং সুপারকে।

(বাঁ দিকে) মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিক, আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিক, আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:০৭
Share: Save:

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। কেন ২২ ঘণ্টার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হল, সেই প্রশ্ন সামনে রেখে শনিবার দুপুর ২টো থেকে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হল হাসপাতালের ডিন এবং সুপারকে।

বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশিকা জারি করে মুস্তাফিজুরের উপর নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছিলেন। সেই নির্দেশিকায় ডিনের সইও ছিল। এর ২২ ঘণ্টার মধ্যে, সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, নতুন নির্দেশিকায় ডিনের বদলে সই করেন চক্ষু বিভাগের সহ-অধ্যাপক সোমদেব গুপ্ত। এক দিনের মধ্যে কেন মুস্তাফিজুরের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হল এই প্রশ্ন তুলে শুক্রবার প্রায় ১২ ঘণ্টা হাসপাতালের ‘ডিন অফ স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স’ চিকিৎসক আরএন মাইতিকে ঘেরাও করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁর সঙ্গে ঘেরাও করা হয় হাসপাতালের সুপারকেও। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের দাবি, প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার করেছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর সেই কারণেই ২২ ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশ বদল করতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। ডিন অফ স্টুডেন্টসের দায়িত্বে থাকা আরএন মাইতির জায়গায় শুক্রবার নোটিসে সই করেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিভাগের সহ-অধ্যাপক সোমদেব। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, কলেজের অধ্যাপক হাসপাতালে না আসা পর্যন্ত তাঁরা ডিন এবং সুপারকে ঘেরাও করে রাখবেন। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে।

ডিন আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বলেন, “নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছিল বোর্ড মিটিং-এ। ফলে, যত ক্ষণ না বোর্ড মিটিং ডাকা হচ্ছে এবং এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, তত ক্ষণ কিছু করা সম্ভব নয়। সোমবার এই বিষয়টি নিয়ে মিটিং-এ আবার আলোচনা করা হবে। তার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্তে আসা যাবে।” ডিন আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করার পরেই বিক্ষোভ তুলে নেন পড়ুয়ারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE