এক অন্য রকম বসন্ত উৎসব। ফাইল চিত্র।
মেধা তালিকা প্রকাশের দাবিতে দিনের পর দিন তাঁরা বসে রয়েছেন মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে। বিভিন্ন পুজো-পার্বণ থেকে শুরু করে তাঁরা নিজেদের মতো করে এই বিক্ষোভ মঞ্চে বসেই উৎসব পালন করেন। মঙ্গলবারও তাঁরা দোল উৎসব পালন করলেন।
তবে এ এক অন্য রকম বসন্ত উৎসব। দোল পূর্ণিমা, বসন্ত উৎসবের দিনে, মেধা তালিকা প্রকাশের দাবিতে রঙহীন ছিল উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের বসন্ত উৎসব। কালো পোষাক পরে, মাথায় কালো ফিতে বেঁধে হাঁটু মুড়ে বসে মেধা তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানালেন চাকরিপ্রার্থীরা। পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের নেতা সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তাঁদের ধর্না ৯৭ দিনে পড়ল। তাঁর অভিযোগ, কলকাতা হই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গত ৩০ সেপ্টেম্বর মেধা তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, সেই মেধা তালিকা প্রকাশিত না হওয়ায় ইন্টারভিউ দেওয়া প্রার্থীরা আবার আদালতে মামলা করেন। একবার ৫ জানুয়ারি এবং একবার ২৩ ফ্রেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি হয়েছে। সুশান্ত বলেন, “দীর্ঘ ৯ বছরে ঘোষিত ১৪৩৩৯ শূন্য পদে এক জনেরও চাকরি হল না। আজ তাই আমাদের রঙহীন বসন্ত উৎসব।” এ দিকে বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে শহীদ মিনারের পাদদেশে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন মঙ্গলবার ৪০ দিনে এবং অনশন ২৬ দিনে পড়ল। মঞ্চের এক অনশনকারী চিন্ময় জানা মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিন্ময় পেশায় শিক্ষক। তাঁকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই হাসপাতালেই গত রবিবার অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আর এক অনশনকারী ভাস্কর ঘোষ। তাঁকে অবশ্য এ দিন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দোল উৎসবের দিনে ডিএ-র দাবিতে অবস্থানরত সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। তিনি কর্মচারীদের আন্দোলনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি জানান, রঙের উৎসবের দিনে সরকারি কর্মচারীদের বে-রঙিন কষ্ট ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করলাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy