Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
TET

টেট উত্তীর্ণরা অনশনে, ‘রাজনৈতিক ইন্ধন’ দেখে দাবি মানতে নারাজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

সোমবার থেকে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভে অনড় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। উত্তাল হয়ে আছে সল্টলেকের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কার্যালয় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবন এলাকা।

চাকরির দাবিতে আবার আন্দোলনে টেট-উর্ত্তীর্ণরা।

চাকরির দাবিতে আবার আন্দোলনে টেট-উর্ত্তীর্ণরা। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৩২
Share: Save:

চাকরির দাবিতে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে। তাঁদের ‘অন্যায্য দাবি’ মানবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর কথায়, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। তাঁদের (পড়ুন চাকরিপ্রার্থীদের) আবেগের প্রতি সহমর্মী। কিন্তু অন্যায্য দাবি মানা যায় না।’’

বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সল্টলেকের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কার্যালয় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবন এলাকা। সোমবার থেকে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভে অনড় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁরা নড়েননি। এপিসি ভবনের সামনে কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর অসুস্থ হওয়ার হওয়ার খবর মিলেছে। এই প্রেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন পর্ষদ সভাপতি।

এই প্রেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন পর্ষদ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলনকারীদের দাবি আইনানুগ নয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। তাঁদের (পড়ুন চাকরিপ্রার্থীদের) আবেগের প্রতি সহমর্মী। কিন্তু অন্যায্য দাবি মানা যায় না।’’ পাশাপাশি, এই আন্দোলনের পিছনে রাজনীতি দেখছেন গৌতম। তিনি বলেন, ‘‘আমি তো জল খাওয়ার সময় পাচ্ছি না। আমরা কেউ স্বাভাবিক ভাবে অফিসে ঢুকতে বেরোতে পারছি না। খাবার আনতে পারছি না। আন্দোলনকারীরা বোর্ডের কাজ বিঘ্নিত করছেন। রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে এই আন্দোলনে। সকল প্রার্থীকেই ইন্টারভিউতে অংশ নিতে হবে।’’

গৌতম জানান, ২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা গত দু’বার ইন্টারভিউতে অংশ নিয়েও উর্ত্তীর্ণ হতে পারেননি। তাই তাঁদের আবার ২০১৭ সালের প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। পাশাপাশি জানান, ২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা গত দু’বার ইন্টারভিউতে অংশ নিয়েও উর্ত্তীর্ণ হতে পারেননি। তাই তাঁদের আবার ২০১৭ সালের প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। গৌতম এ-ও বলেন, ‘‘চল্লিশ বছর বয়সি টেট- উর্ত্তীর্ণদের ক্ষেত্রে বোর্ডের কিছু করার নেই। আইন সংশোধন করতে পারে রাজ্য। শিক্ষা দফতরে কথা বলছি। এ নিয়ে বোর্ডের কিছু করার নেই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE