প্রতীকী ছবি।
দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে বলে ১০ নভেম্বর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার প্রাথমিক স্তরে নিয়োগের জন্য ১৫০৬ জন প্রার্থীর প্যানেল বা তালিকা প্রকাশ করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এ দিন তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি অজিতকুমার নায়েক বলেন, “শূন্য পদ তৈরি হলে তার ভিত্তিতে ওই ১৫০৬ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হবে।”
কয়েক দিন ধরে বালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে ওই সংসদ অফিসের সামনে ২০০৯ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকপদে আবেদন করা চাকরিপ্রার্থীরা ধর্না দিচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ১২ বছরে দু’বার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার পরেও নিয়োগপত্র মেলেনি। দেবাশিস বিশ্বাস নামে এক আন্দোলনকারী জানান, তিনি ২০০৯-এ বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করেছিলেন। তখন জেলা-ভিত্তিক নিয়োগ হত প্রাথমিকে। লিখিত পরীক্ষার পরে ইন্টারভিউ হয়েছিল। কিন্তু অনিয়মের অভিযোগে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল হয়ে যায়। ২০১২ সালে আবার বিজ্ঞপ্তি বেরোয়। দেবাশিসেরা আগের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডের ভিত্তিতে ফের আবেদন করেন। ২০১২-র বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। ইন্টারভিউয়ের পরে তালিকা বেরোয় ২০১৫-র ১০ জুন। কিন্তু তার পরেও বিভিন্ন মামলার জেরে নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায় পাঁচটি জেলায়। পরে চারটি জেলার তালিকা প্রকাশ করা হলেও বাকি থেকে গিয়েছিল শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এক যুগেরও বেশি পরে এ দিন সেই তালিকা প্রকাশিত হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy