নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ‘জাল’ কি না, তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কায় ভুগছেন। এর মধ্যেই অতি গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যকীয় ৭৪৮টি ওষুধের দাম আজ, মঙ্গলবার থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচক মেনে ওই সমস্ত ওষুধের ‘এমআরপি’-র উপরে ১.৭৪ শতাংশ হারে দাম বৃদ্ধিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’ (এনপিপিআর)। সেই তালিকায় প্যারসিটামল, কাশি, সুগার, বাত, কৃমি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ঘুম, ভিটামিন, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সাধারণ ওষুধ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক-সহ বিভিন্ন রোগের ট্যাবলেট, ইঞ্জেকশন আছে।
সম্প্রতি ‘এনপিপিআর’ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, ২০১৩–র কেন্দ্রীয় ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার (ডিপিসিও)-র ১৬ (২) অনুচ্ছেদ মেনেই ৭৪৮টি ওষুধের দাম বৃদ্ধি করার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছে ‘বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’ (বিসিডিএ)। সংগঠনের মুখপাত্র শঙ্খ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ডিপিসিও-র তালিকাভুক্ত ওষুধের দাম বছরে ১০ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারে প্রস্তুতকারী সংস্থা। তার উপরে আচমকাই কেন্দ্র আবার ১.৭৪ শতাংশ হারে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন নিল তা বোধগম্য হচ্ছে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে সব ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে সেগুলি এখন মানুষের জীবনে নিত্য প্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছে। কেন দাম বাড়ানো হল তার যুক্তিসঙ্গত কারণ অবশ্য জানানো হয়নি।’’
ওষুধ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার যখন ওষুধের দাম বাড়ায় তখন সাধারণভাবেই মানুষের সঙ্গে দোকানদারদের সংঘাত বাধে। কিন্তু তাতে পাইকারি বা খুচরো ব্যবসায়ীদের হাত থাকে না। সেটা মানুষকে বুঝে তাঁদের সঙ্গেই প্রতিবাদে নামারও আহ্বান করছে বিসিডিএ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অত্যাবশকীয় ওই ওষুধের তালিকায় অ্যান্টিভাইরাল, রক্তচাপ, বাত, রক্ত তরল করা, কৃমি, জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন, মানসিক সমস্যা, জলাতঙ্কের ইমিউনোগ্লোবিন, ভিটামিন-সি, ম্যালেরিয়া, ক্যানসার, সর্পাঘাত, অ্যান্টিঅ্যালার্জিক, ব্যথানাশক, হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ, ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, ব্যাকটিরিয়াজনিত সংক্রমণ, বন্ধ্যত্ব, গর্ভনিরোধক, যক্ষ্মা, বুকে যন্ত্রণা, জাপানি এনসেফেলাইটিস, অ্যানাস্থিশিয়া, ঘুম, অ্যান্টিবায়োটিক-সহ নির্দিষ্ট কিছু স্টেরয়েডও আছে। চিকিৎসকদের একাংশের কথায়, ‘‘তালিকায় যা দেখা যাচ্ছে, তাতে অত্যাবশ্যকীয় কোনও ওষুধই তো ছাড়া হয়নি। এমন ভাবে আচমকা দাম বৃদ্ধি হলে প্রচুর মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন।’’
যুবকের মৃত্যুতে জলাতঙ্ক নিয়ে চর্চা
নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবড়া: গন্ধগোকুলের আঁচড়ে আক্রান্ত এক যুবকের মৃত্যু ঘটল। সময় মতো অ্যান্টি-রেবিস ভ্যাকসিন তিনি নেননি বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সোমনাথ দেবনাথ (৩১), বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার কামারথুবা এলাকায়। মঙ্গলবার দেহ ময়না তদন্ত করা হবে বারাসত মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালে।
হাবড়া থানার তরফে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমনাথ এবং তাঁর এক বন্ধুকে প্রায় আড়াই মাস আগে একটি গন্ধগোকুল আক্রমণ করেছিল। দু’জনেই হাবড়া হাসপাতালে টিটেনাস নেন। তবে সোমনাথের বন্ধু প্রতিষেধকও নিয়েছিলেন। সোমনাথ তা নিয়ে চাননি। ঘটনাটিকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাননি বলে জানতে
পেরেছেন চিকিৎসকেরা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)