হিম্মত থাকলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করুক, কিন্তু কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ মানব না:সুব্রত

চাইলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করুক, কিন্তু রাজ্যের এক্তিয়ারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ তাঁরা মানবেন না। রাজ্যের তিন ‘বিতর্কিত’ আইপিএস অফিসারের বদলি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বললেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সুব্রত বলেন, ‘‘ক্ষমতার জোরে কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৫৪ সালের ক্যাডার বিধির অপব্যবহার করছে। এই অপব্যবহারের কাছে আমরা নতিস্বীকার করছি না। এটা অসাংবিধানিক। ওরা যা খুশি করতে পারে। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করলেও করতে পারে, আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। হিম্মত থাকলে তা করে দেখাক। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসবাদী, অগণতান্ত্রিক শক্তির সামনে মাথা নত করব না।’’ কেন্দ্রের পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সুব্রত।

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সে প্রসঙ্গে সুব্রতর মন্তব্য, ‘‘এরকম একটা, দু’টো, তিনটে, চারটে নেতা গেলেও এত বড় দলের কিছু যায় আসে না। আমাদের কয়েক লক্ষ সদস্য রয়েছে। কেউ এত বড় বীর নয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে দিলে দলটা উঠে যাবে। কারণ আমরা দলের জন্য নয়, মানুষের জন্য কাজ করি।’’

আরও পড়ুন: পুর-পদ ছাড়তেই পার্টি অফিসে হামলা, তাই দলও ছাড়লেন জিতেন্দ্র

আরও পড়ুন: ‘মাথা ঝোঁকাবে না বাংলা’, আইপিএস অফিসার বদলি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী​

গ্রামীণ উন্নয়নে দেশের অন্যান্য রাজ্যের থেকে পশ্চিমবঙ্গ অনেক এগিয়ে রয়েছে বলে সুব্রত দাবি করেন। তাঁর মতে, বিগত দশ বছরে তৃণমূল জমানায় রাজ্যের গ্রামগুলির অনেক উন্নতি হয়েছে। ‘মিশন নির্মল বাংলা’, ‘গ্রামীণ সড়ক যোজনা’ ও ‘১০০ দিনের কাজ’-এ গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এ ছাড়া ‘বাংলা আবাস যোজনা’য় গত দশ বছরে ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার বাড়ি তৈরি হয়েছে বলেও জানান পঞ্চায়েত মন্ত্রী। কাজ যে ভাবে হচ্ছে তাতে আগামিদিনে পশ্চিমবঙ্গে মাটির বাড়ি থাকবে না বলে দাবি করেন তিনি।