প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজারহাট ক্যাম্পাসের বাইরে পড়ুয়ারা। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের জন্য বেলা ১১টা থেকে অপেক্ষা করছিলেন রাজারহাট ক্যাম্পাসে। পড়ুয়ারা রাজারহাটে এলেন ১২টারও পরে। ১টার পরে আলোচনা শুরু হল। যদিও সমাধানসূত্র বেরোল না।
উপাচার্য বললেন, ‘‘আশা করি, ছাত্রেরা আন্দোলন তুলে নেবেন।’’ যদিও পড়ুয়ারা জানালেন, হিন্দু হস্টেল ও মেয়েদের হস্টেলের বিভিন্ন দাবি নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র না-মেলায় কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে তাঁদের অবস্থান-বিক্ষোভ চলবে।
বুধবার ই-মেল করে লোহিয়া জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজারহাট ক্যাম্পাসে আট জন প্রতিনিধির সঙ্গে তিনি হিন্দু হস্টেল ও মেয়েদের সল্টলেকের হস্টেল নিয়ে বৈঠকে বসবেন। দেখা গেল, আট জনের জায়গায় তিনটি ম্যাটাডর ভ্যান ভর্তি ছাত্রছাত্রী হাজির! স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে রক্ষীরা তাঁদের পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। বাদানুবাদ হয়। তার পরে পড়ুয়ারা ঢুকে পড়েন ক্যাম্পাসে। ১২টার পরে পৌঁছে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। বেলা ১টার পরে লোহিয়া বলেন, ‘‘প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। এ বার বৈঠক শুরু না-হলে চলে যাব।’’ শেষে ১টা ২০ মিনিট নাগাদ ছাত্রছাত্রীদের ১২ জন প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর বৈঠক শুরু হয়।
আধ ঘণ্টার বৈঠক শেষে বেরিয়ে লোহিয়া বলেন, ‘‘ওদের দাবি, মেস-কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। পরের বার যখন আমরা রাজ্যের কাছে টাকা চাইব, তখন সেই অর্থও চেয়ে নেব। মেয়েদের হস্টেলে জলের সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব মেটানোর চেষ্টা করব।’’
পড়ুয়ারা জানান, উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় কয়েকটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলোচনা ফলপ্রসূ হল না। যে-সংস্থা মেস-কর্মী সরবরাহ করে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে বলে জানান উপাচার্য। আজ, শুক্রবার সেই সংস্থার সঙ্গে কথা বলবেন পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, হিন্দু হস্টেলের তিনটি ওয়ার্ডের সংস্কার কবে শেষ হবে, উপাচার্য নির্দিষ্ট ভাবে তা জানাতে পারেননি। মেয়েদের হস্টেলের যে-সব দাবি ছিল, তারও সুরাহা করতে পারেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy