প্রেসিডেন্সি থেকে বেরোচ্ছেন অসুস্থ অনুরাধা। নিজস্ব চিত্র
হিন্দু হস্টেল নিয়ে নতুন পর্যায়ের আন্দোলন চলছে প্রায় ১৬ দিন ধরে। তারই মধ্যে ঘেরাও চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। বুধবার বিকেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে তাঁর অফিস থেকে হুইলচেয়ারে দোতলার সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে হিন্দু হস্টেল ফের আবাসিকদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলন হয়েছে। এ বার হস্টেল সংস্কার-সহ বেশ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ-অবস্থান চলছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথমে ডিন অব স্টুডেন্টসের ঘরের সামনে বিক্ষোভ হয়। সোমবার থেকে উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। ওই দিন বিকেলেই উপাচার্যের ঘরের সামনে ঘেরাও শুরু হয়। সারা রাত ঘেরাও হয়ে থাকার পরে মঙ্গলবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বেরিয়ে যান উপাচার্য। দুপুরে প্রেসিডেন্সিতে ফিরে আসেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই বুধবার বিকেল পর্যন্ত ঘেরাও অবস্থায় নিজের ঘরেই ছিলেন উপাচার্য। তার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীরা জানান, এ দিন বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের সঙ্গে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক হয়। এক ছাত্র জানান, হিন্দু হস্টেলের সংস্কার-সহ যে-ক’টি দাবি রয়েছে, সেগুলো শিক্ষকদের কাছে পেশ করা হয়েছে। এক ছাত্র বলেন, ‘‘হিন্দু হস্টেলের মেসকর্মীদের বসিয়ে দেওয়া হল কেন, সেই প্রশ্ন তোলা হয় এ দিনের বৈঠকে। সরস্বতী পুজোয় বিক্ষোভের সময় ছুটির দিনের অজুহাতে প্রেসিডেন্সি চত্বরে মেয়েদের ঢুকতে দেওয়ার ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য দেখানো হল কেন, ওঠে সেই প্রশ্ন এবং প্রসঙ্গও।’’
বিক্ষোভরত এক ছাত্র জানান, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষকেরা উপাচার্যের কাছে যান। তার পরেই উপাচার্য বাইরে বেরিয়ে এসে তাঁদের ঘেরাও অবস্থান তুলে নিতে বলেন। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিক্ষোভকারীরা জানান, উপাচার্যকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য জায়গা করে দেন তাঁরা। রাতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার ফোন-বার্তায় জানান, তিনি উপাচার্যের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
উপাচার্য হাসপাতালে যাওয়ার পরেও পড়ুয়ারা বিক্ষোভ-অবস্থান থেকে সরে আসেননি। তাঁদের এক জনের কথায়, আজ, বৃহস্পতিবারেও অবস্থান-বিক্ষোভ চলবে। যদিও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁদের উদ্দেশে আবেদন জানিয়েছেন, ‘‘দাবি আদায়ের জন্য কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করবেন না। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy