Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Abhishek Banerjee

২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিষেকের সভা শিশির, শুভেন্দুর পাড়ায়, কাঁথি জুড়ে শাসকদলে সাজ সাজ রব

সভাস্থল শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’-এর অদূরে প্রভাতকুমার কলেজের মাঠ। সেই সভা ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। শেষ বেলায় জেলা জুড়ে চলছে মাইকে প্রচার, মিছিল, দেওয়াল লিখন।

কাঁথিতে অভিষেকের সভার শেষ বেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে। নিজস্ব ছবি।

কাঁথিতে অভিষেকের সভার শেষ বেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে। নিজস্ব ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৩১
Share: Save:

রাত পোহালেই কাঁথিতে সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’-এর অদূরে প্রভাতকুমার কলেজের মাঠ। সেই সভা ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। শেষ বেলায় জেলা জুড়ে চলছে মাইকে প্রচার, মিছিল, দেওয়াল লিখন। ঘন ঘন বুথ এবং ব্লক স্তরের বৈঠক হচ্ছে শাসকদলের দলীয় কার্যালয়গুলিতে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কাঁথিতে অভিষেকের এই সভার গুরুত্ব কতটা, তা হাবেভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে অভিষেকের সভায় ১ লক্ষ মানুষের জমায়েতের ঘোষণা করা হয়েছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। তা যে একেবারেই কথার কথা নয়, তা স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক তরুণ মাইতি। তিনি বলেন, ‘‘অভিষেকের সভার প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। জেলা জুড়ে প্রতিটি বুথ, অঞ্চল ও ব্লক স্তরে সভা, মিছিল, মাইক প্রচার, ব্যানার, দেওয়াল লিখন হয়েছে। তা চলছেও।’’ দলীয় সূত্রে খবর, জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক বার পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সাংগঠনিক জেলা— তমলুক এবং কাঁথির তৃণমূল নেতৃত্ব।

তরুণ জানান, মঞ্চ বাঁধার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যেই তা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। সভা শুরু হবে শনিবার বেলা ১টা থেকে। তবে সকাল ১০টা থেকে যাতে কর্মী-সমর্থকেরা চলে আসেন, সেই নির্দেশ রয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকাগুলির কর্মী-সমর্থকেরা যাতে জনসভায় যোগ দিতে পারেন, তার জন্য ছোট-বড় গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বুথ স্তরের নেতৃত্বকে। পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরেও গাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানান তরুণ। তিনি বলেন, ‘‘দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হলেও গোটা বিষয়টির উপর নজরদারি চালাবেন জেলা নেতৃত্ব। ’’

সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের বরোজ এবং অর্জুননগরের মতো কয়েকটি এলাকা তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে। শাসকদল সূত্রে খবর, ওই দুই অঞ্চলের জন্য এক জনকে আহ্বায়ক হিসাবে নিযুক্ত করেন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই এলাকা থেকে ২৫টি বাসে তৃণমূলের কর্মীদের অভিষেকের জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা। শুধু বরোজ থেকেই তিনটি বাস, ২০টি অটো এবং ৫০০টি মোটরবাইক নিয়ে যাওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। জেলা পরিষদ সদস্য তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা মানব পড়ুয়া বলেন, ‘‘অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মিহির ভৌমিকের উপরে যে ভাবে আক্রমণ চালিয়েছে বিজেপি, তাতে এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইছেন। তাই নতুন করে তাঁরা অভিষেকের জনসভায় যাওয়ার জন্য আমাদের গাড়ির বন্দোবস্ত করার কথা বলেছেন। আমরাও জেলা নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি।’’

নন্দীগ্রামেও দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল শাসক শিবিরে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই অস্বস্তি কাটাতে নন্দীগ্রাম থেকেও সভায় ভাল পরিমাণে লোক আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, নন্দীগ্রাম-১ ব্লক থেকে ৩৩টি বাস এবং নন্দীগ্রাম-২ ব্লক থেকে ১৭টি সভায় যাবে।

অভিষেকের সভায় বিপুল জমায়েতের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় কাঁথি শহরে যানজট এড়াতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পুলিশও। সূত্রের খবর, জনসভায় আসা গাড়ির জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে অভিষেকের গাড়ি ছাড়া আর কোনও গাড়িই মঞ্চের কাছাকাছি পৌঁছবে না বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

অন্য বিষয়গুলি:

Abhishek Banerjee Kanthi Suvendu Adhikari
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy