যানজটে। নিজস্ব চিত্র
২০১১ বিধানসভা নির্বাচন। নলহাটি আসন। যেখানে ১৯৬৭ সালের পরে কোনও অ-বাম প্রার্থী জেতেননি। সেই আসন পুনরুদ্ধারে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নির্বাচনী ময়দানে রাজনীতিতে একেবারে আনকোড়া অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। যিনি সবে একটি কর্পোরেট সংস্থার দায়িত্ব ছেড়েছেন। যিনি রাজনীতির মঞ্চে তখনও কোনও সভায় বক্তব্য রাখতে অভ্যস্ত ছিলেন না।
সম্পূর্ণ নতুন ভূমিকায় নামা ছেলে ‘বাবু’ (অভিজিত মুখোপাধ্যায়ের ডাক নাম)-র হয়ে ভোট প্রচার করতে বাবা প্রণব মুখোপাধ্যায়কে দেখেছিলেন নলহাটির মানুষ। সেই প্রচারের ছবি এখনও অনেকের কাছে ছবির মতো ভাসছে। এপ্রিলের চড়া রোদ। তবুও ছেলে ‘বাবু’র প্রচারে আর যে কোনও কংগ্রেস প্রার্থীর মতোই নলহাটিতে এসে চারটে সভা এবং দুটো রোড শো করেছিলেন। ৭৬ বছর বয়সী ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণববাবুর মধ্যে তখন এলাকার মানুষ দেখেছিলেন অসীম ধৈর্য্য।
ছবিটা ছিল এই রকম, মাথার উপর গনগনে রোদ। নলহাটি শহরের রামমন্দির থেকে সকাল এগারটায় রোড শো শুরু হল। জাতীয় সড়ক ধরে চালবাজার হয়ে রোড শো চলল। ধোপ দুরস্ত সাদা-ধুতি পাঞ্জাবি পরে হুড খোলা জিপে ভারতের অর্থমন্ত্রী চলেছেন কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট প্রার্থীর প্রচারে। পাশে প্রার্থী, ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। পথ চলতি মানুষ দেখছেন ভারতবর্ষের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে। এর মাঝে নলহাটি রেলগেটের যানজটে আটকে পড়লেন। দীর্ঘ ৪০ মিনিট ছিল সেই যানজট। ঘাম মুছতে মুছতে গিয়ে বসেছিলেন দলীয় কর্মী বাবুপ্রসাদের দোকানে।
সেই বাবুপ্রসাদের কথায়, ‘‘নলহাটির মানুষের নিত্যদিনের সমস্যা সে দিন নিজে উপলব্ধি করেছিলেন।’’ পরবর্তীতে সমস্যা সমাধানে কথা রেখেছিলেন। রেলগেটের যানজট সমস্যা দূর করতে বর্তমানের রোড ওভার
সেতু তৈরিতে প্রণববাবুর অবদান যথেষ্ট, জানালেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতারা। চড়া রোদে নলহাটি শহর ছাড়িয়ে গ্রামের দিকে রোড শো-র যাত্রা ভোলেননি কুরুমগ্রামের সঞ্জীব সিংহ, তেজহাটির রাজু মণ্ডলরা। প্রণববাবুকে কাছে পেয়ে দেখতে ছুটে এসেছিলেন প্রণববাবুর সমবয়সী রাজনৈতিক সহযোদ্ধা অনুগামীরা। কেউ
দেবগ্রাম ঘাটে ব্রাহ্মণী নদীর উপরে সেতু নির্মাণের দাবি রেখেছিলেন, কেউ কেউ সরধার মোড়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার দাবি করেছিলেন। আজও অবশ্য সেই দাবি পূরণ হয়নি। কিন্তু প্রণববাবুকে দেখার সেই দৃশ্য ভোলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy