Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
prakash karat

বিজেপির বিরুদ্ধে দ্বৈত লড়াইয়ের বার্তা কারাটের

দেশ ও রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনা টেনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ দিন বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এখন বলছেন, বিরোধী থাকা সময়ে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করেননি!

প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে দলীয় মুখপত্রের অনুষ্ঠানে সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট।

প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে দলীয় মুখপত্রের অনুষ্ঠানে সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:১৩
Share: Save:

নির্বাচন এলেই সার্বিক বিরোধী ঐক্য নিয়ে নানা চর্চা হয়। কিন্তু নির্বাচনী সমঝোতার রণকৌশলেই কেবল বিজেপির মোকাবিলা সম্ভব নয় বলে মনে করেন প্রকাশ কারাট। সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকের মতে, সামনে বিজেপি ‘মুখোশ’ আর পিছনে আসল ‘মুখ’ আরএসএস— এমন রাজনৈতিক শক্তি অনন্য। তাদের প্রভাবও বিপুল। এই আরএসএস-বিজেপির শক্তির সঙ্গে মোকাবিলা করতে গেলে মানুষের রুটি-রুজির প্রশ্নে দৈনন্দিন আন্দোলনের সঙ্গে মতাদর্শগত সংগ্রামকে মেলাতে হবে। একটাকে বাদ দিয়ে অন্যটা করে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে এঁটে ওঠা যাবে না বলেই মত দিচ্ছেন কারাট।

নির্বাচন এলেই সার্বিক বিরোধী ঐক্য নিয়ে নানা চর্চা হয়। কিন্তু নির্বাচনী সমঝোতার রণকৌশলেই কেবল বিজেপির মোকাবিলা সম্ভব নয় বলে মনে করেন প্রকাশ কারাট। সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকের মতে, সামনে বিজেপি ‘মুখোশ’ আর পিছনে আসল ‘মুখ’ আরএসএস— এমন রাজনৈতিক শক্তি অনন্য। তাদের প্রভাবও বিপুল। এই আরএসএস-বিজেপির শক্তির সঙ্গে মোকাবিলা করতে গেলে মানুষের রুটি-রুজির প্রশ্নে দৈনন্দিন আন্দোলনের সঙ্গে মতাদর্শগত সংগ্রামকে মেলাতে হবে। একটাকে বাদ দিয়ে অন্যটা করে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে এঁটে ওঠা যাবে না বলেই মত দিচ্ছেন কারাট।

প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে মঙ্গলবার সিপিএমের দৈনিক মুখপত্রের ৫৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘দক্ষিণপন্থার বিপদ ও তার প্রতিরোধ’ বিষয়ে আলোচক ছিলেন দলের পলিটবুরো সদস্য কারাট। ব্রাজ়িল, আমেরিকা, ইটালি, তুরস্কের মতো নানা দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে কারাট ব্যাখ্যা করেছেন, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় দক্ষিণপন্থার কী ভাবে উত্থান ঘটেছে এবং কী ভাবে তার বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। এই সূত্রেই তাঁর বক্তব্য, এ দেশে আরএসএস-বিজেপির ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদ’ দক্ষিণপন্থারই আর এক রূপ। সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রবল সক্রিয় আরএসএস এমন ভাবে সাধারণ, খেটে-খাওয়া মানুষের মনেও হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তার ধারণা গেঁথে দিচ্ছে যে, প্রতি দিনের জীবনে বিবিধ সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বড় অংশের মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে চলেছেন। ‘সফল’ কৃষক আন্দোলনেরও পরেও উত্তর প্রদেশে বিজেপির ভোট বেড়েছে, গুজরাটেও তারা আরও এগিয়েছে। এই কারণেই বিজেপির মোকাবিলা আর পাঁচটা দলের সঙ্গে লড়াইয়ের মতো নয়।

গেরুয়া শিবিরের দক্ষিণপন্থী দাপটের বিরুদ্ধে লড়াই করার কৌশল আলোচনা করতে গিয়ে কারাট বলেন, ‘‘মানুষের রুটি-রুজি, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে আন্দোলনকে আরও ছড়িয়ে দিতে হবে। আরও মানুষকে সংহত করতে হবে। সেই সঙ্গেই হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিপজ্জনক দিক চিহ্নিত করে পাল্টা আদর্শগত লড়াই করতে হবে। আদর্শগত লড়াইয়ের মঞ্চ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে অন্যান্য দলও এগিয়ে আসতে পারে। শুধু নির্বাচনী সমঝোতার ব্যাপার নয় এটা।’’ ত্রিপুরায় ২০ বছরের বাম সরকারকে পরাস্ত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, তাঁদের ‘আদর্শগত জয়’ হল। সেই উদাহরণ দিয়ে কারাটের মন্তব্য, ‘‘গত বছরও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বামেরা একটা প্রান্তিক রাজ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেলেও তাদের আদর্শের বিপদ রয়ে গিয়েছে! ওঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী চিনে নিয়েছেন। জাতীয় স্তরে বামেদের শক্তি এখন বলার মতো নয়। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে আদর্শগত শক্তি বামেদেরই আছে, অন্য কারও নয়।’’

দেশ ও রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনা টেনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ দিন বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এখন বলছেন, বিরোধী থাকা সময়ে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করেননি! বলছেন, বিজেপির ‘বি’ টিম সিপিএম। এই যে এক দশকে বাংলার মানুষের স্মৃতি বিভ্রম ঘটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, এটাও দক্ষিণপন্থার কাজ।’’ সামনে পঞ্চায়েত ভোট বামেদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে সেলিমের মন্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েতের অধিকার আরজুনা বিবিদের (নন্দকুমারে আবাস যোজনা নিয়ে বিক্ষোভে যাঁর উপরে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে) কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। মনে করিয়ে দিতে হবে, ২০১৮ আর ২০২৩ এক নয়। পুনরাবৃত্তি সহজ হবে না!’’

নির্বাচন এলেই সার্বিক বিরোধী ঐক্য নিয়ে নানা চর্চা হয়। কিন্তু নির্বাচনী সমঝোতার রণকৌশলেই কেবল বিজেপির মোকাবিলা সম্ভব নয় বলে মনে করেন প্রকাশ কারাট। সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকের মতে, সামনে বিজেপি ‘মুখোশ’ আর পিছনে আসল ‘মুখ’ আরএসএস— এমন রাজনৈতিক শক্তি অনন্য। তাদের প্রভাবও বিপুল। এই আরএসএস-বিজেপির শক্তির সঙ্গে মোকাবিলা করতে গেলে মানুষের রুটি-রুজির প্রশ্নে দৈনন্দিন আন্দোলনের সঙ্গে মতাদর্শগত সংগ্রামকে মেলাতে হবে। একটাকে বাদ দিয়ে অন্যটা করে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে এঁটে ওঠা যাবে না বলেই মত দিচ্ছেন কারাট।

প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে মঙ্গলবার সিপিএমের দৈনিক মুখপত্রের ৫৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘দক্ষিণপন্থার বিপদ ও তার প্রতিরোধ’ বিষয়ে আলোচক ছিলেন দলের পলিটবুরো সদস্য কারাট। ব্রাজ়িল, আমেরিকা, ইটালি, তুরস্কের মতো নানা দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে কারাট ব্যাখ্যা করেছেন, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় দক্ষিণপন্থার কী ভাবে উত্থান ঘটেছে এবং কী ভাবে তার বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। এই সূত্রেই তাঁর বক্তব্য, এ দেশে আরএসএস-বিজেপির ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদ’ দক্ষিণপন্থারই আর এক রূপ। সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রবল সক্রিয় আরএসএস এমন ভাবে সাধারণ, খেটে-খাওয়া মানুষের মনেও হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তার ধারণা গেঁথে দিচ্ছে যে, প্রতি দিনের জীবনে বিবিধ সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বড় অংশের মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে চলেছেন। ‘সফল’ কৃষক আন্দোলনেরও পরেও উত্তর প্রদেশে বিজেপির ভোট বেড়েছে, গুজরাটেও তারা আরও এগিয়েছে। এই কারণেই বিজেপির মোকাবিলা আর পাঁচটা দলের সঙ্গে লড়াইয়ের মতো নয়।

গেরুয়া শিবিরের দক্ষিণপন্থী দাপটের বিরুদ্ধে লড়াই করার কৌশল আলোচনা করতে গিয়ে কারাট বলেন, ‘‘মানুষের রুটি-রুজি, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে আন্দোলনকে আরও ছড়িয়ে দিতে হবে। আরও মানুষকে সংহত করতে হবে। সেই সঙ্গেই হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিপজ্জনক দিক চিহ্নিত করে পাল্টা আদর্শগত লড়াই করতে হবে। আদর্শগত লড়াইয়ের মঞ্চ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে অন্যান্য দলও এগিয়ে আসতে পারে। শুধু নির্বাচনী সমঝোতার ব্যাপার নয় এটা।’’ ত্রিপুরায় ২০ বছরের বাম সরকারকে পরাস্ত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, তাঁদের ‘আদর্শগত জয়’ হল। সেই উদাহরণ দিয়ে কারাটের মন্তব্য, ‘‘গত বছরও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বামেরা একটা প্রান্তিক রাজ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেলেও তাদের আদর্শের বিপদ রয়ে গিয়েছে! ওঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী চিনে নিয়েছেন। জাতীয় স্তরে বামেদের শক্তি এখন বলার মতো নয়। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে আদর্শগত শক্তি বামেদেরই আছে, অন্য কারও নয়।’’

দেশ ও রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনা টেনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ দিন বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এখন বলছেন, বিরোধী থাকা সময়ে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করেননি! বলছেন, বিজেপির ‘বি’ টিম সিপিএম। এই যে এক দশকে বাংলার মানুষের স্মৃতি বিভ্রম ঘটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, এটাও দক্ষিণপন্থার কাজ।’’ সামনে পঞ্চায়েত ভোট বামেদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে সেলিমের মন্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েতের অধিকার আরজুনা বিবিদের (নন্দকুমারে আবাস যোজনা নিয়ে বিক্ষোভে যাঁর উপরে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে) কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। মনে করিয়ে দিতে হবে, ২০১৮ আর ২০২৩ এক নয়। পুনরাবৃত্তি সহজ হবে না!’’

নির্বাচন এলেই সার্বিক বিরোধী ঐক্য নিয়ে নানা চর্চা হয়। কিন্তু নির্বাচনী সমঝোতার রণকৌশলেই কেবল বিজেপির মোকাবিলা সম্ভব নয় বলে মনে করেন প্রকাশ কারাট। সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকের মতে, সামনে বিজেপি ‘মুখোশ’ আর পিছনে আসল ‘মুখ’ আরএসএস— এমন রাজনৈতিক শক্তি অনন্য। তাদের প্রভাবও বিপুল। এই আরএসএস-বিজেপির শক্তির সঙ্গে মোকাবিলা করতে গেলে মানুষের রুটি-রুজির প্রশ্নে দৈনন্দিন আন্দোলনের সঙ্গে মতাদর্শগত সংগ্রামকে মেলাতে হবে। একটাকে বাদ দিয়ে অন্যটা করে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে এঁটে ওঠা যাবে না বলেই মত দিচ্ছেন কারাট।

প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে মঙ্গলবার সিপিএমের দৈনিক মুখপত্রের ৫৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘দক্ষিণপন্থার বিপদ ও তার প্রতিরোধ’ বিষয়ে আলোচক ছিলেন দলের পলিটবুরো সদস্য কারাট। ব্রাজ়িল, আমেরিকা, ইটালি, তুরস্কের মতো নানা দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে কারাট ব্যাখ্যা করেছেন, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় দক্ষিণপন্থার কী ভাবে উত্থান ঘটেছে এবং কী ভাবে তার বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। এই সূত্রেই তাঁর বক্তব্য, এ দেশে আরএসএস-বিজেপির ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদ’ দক্ষিণপন্থারই আর এক রূপ। সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রবল সক্রিয় আরএসএস এমন ভাবে সাধারণ, খেটে-খাওয়া মানুষের মনেও হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তার ধারণা গেঁথে দিচ্ছে যে, প্রতি দিনের জীবনে বিবিধ সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বড় অংশের মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে চলেছেন। ‘সফল’ কৃষক আন্দোলনেরও পরেও উত্তর প্রদেশে বিজেপির ভোট বেড়েছে, গুজরাটেও তারা আরও এগিয়েছে। এই কারণেই বিজেপির মোকাবিলা আর পাঁচটা দলের সঙ্গে লড়াইয়ের মতো নয়।

গেরুয়া শিবিরের দক্ষিণপন্থী দাপটের বিরুদ্ধে লড়াই করার কৌশল আলোচনা করতে গিয়ে কারাট বলেন, ‘‘মানুষের রুটি-রুজি, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে আন্দোলনকে আরও ছড়িয়ে দিতে হবে। আরও মানুষকে সংহত করতে হবে। সেই সঙ্গেই হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিপজ্জনক দিক চিহ্নিত করে পাল্টা আদর্শগত লড়াই করতে হবে। আদর্শগত লড়াইয়ের মঞ্চ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে অন্যান্য দলও এগিয়ে আসতে পারে। শুধু নির্বাচনী সমঝোতার ব্যাপার নয় এটা।’’ ত্রিপুরায় ২০ বছরের বাম সরকারকে পরাস্ত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, তাঁদের ‘আদর্শগত জয়’ হল। সেই উদাহরণ দিয়ে কারাটের মন্তব্য, ‘‘গত বছরও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বামেরা একটা প্রান্তিক রাজ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেলেও তাদের আদর্শের বিপদ রয়ে গিয়েছে! ওঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী চিনে নিয়েছেন। জাতীয় স্তরে বামেদের শক্তি এখন বলার মতো নয়। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে আদর্শগত শক্তি বামেদেরই আছে, অন্য কারও নয়।’’

দেশ ও রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনা টেনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ দিন বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এখন বলছেন, বিরোধী থাকা সময়ে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করেননি! বলছেন, বিজেপির ‘বি’ টিম সিপিএম। এই যে এক দশকে বাংলার মানুষের স্মৃতি বিভ্রম ঘটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, এটাও দক্ষিণপন্থার কাজ।’’ সামনে পঞ্চায়েত ভোট বামেদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে সেলিমের মন্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েতের অধিকার আরজুনা বিবিদের (নন্দকুমারে আবাস যোজনা নিয়ে বিক্ষোভে যাঁর উপরে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে) কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। মনে করিয়ে দিতে হবে, ২০১৮ আর ২০২৩ এক নয়। পুনরাবৃত্তি সহজ হবে না!’’

ব্রাজ়িল, আমেরিকা, ইটালি, তুরস্কের মতো নানা দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে কারাট ব্যাখ্যা করেছেন, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় দক্ষিণপন্থার কী ভাবে উত্থান ঘটেছে এবং কী ভাবে তার বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। এই সূত্রেই তাঁর বক্তব্য, এ দেশে আরএসএস-বিজেপির ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদ’ দক্ষিণপন্থারই আর এক রূপ। সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রবল সক্রিয় আরএসএস এমন ভাবে সাধারণ, খেটে-খাওয়া মানুষের মনেও হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তার ধারণা গেঁথে দিচ্ছে যে, প্রতি দিনের জীবনে বিবিধ সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বড় অংশের মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে চলেছেন। ‘সফল’ কৃষক আন্দোলনেরও পরেও উত্তর প্রদেশে বিজেপির ভোট বেড়েছে, গুজরাটেও তারা আরও এগিয়েছে। এই কারণেই বিজেপির মোকাবিলা আর পাঁচটা দলের সঙ্গে লড়াইয়ের মতো নয়।

গেরুয়া শিবিরের দক্ষিণপন্থী দাপটের বিরুদ্ধে লড়াই করার কৌশল আলোচনা করতে গিয়ে কারাট বলেন, ‘‘মানুষের রুটি-রুজি, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে আন্দোলনকে আরও ছড়িয়ে দিতে হবে। আরও মানুষকে সংহত করতে হবে। সেই সঙ্গেই হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিপজ্জনক দিক চিহ্নিত করে পাল্টা আদর্শগত লড়াই করতে হবে। আদর্শগত লড়াইয়ের মঞ্চ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে অন্যান্য দলও এগিয়ে আসতে পারে। শুধু নির্বাচনী সমঝোতার ব্যাপার নয় এটা।’’ ত্রিপুরায় ২০ বছরের বাম সরকারকে পরাস্ত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, তাঁদের ‘আদর্শগত জয়’ হল। সেই উদাহরণ দিয়ে কারাটের মন্তব্য, ‘‘গত বছরও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বামেরা একটা প্রান্তিক রাজ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেলেও তাদের আদর্শের বিপদ রয়ে গিয়েছে! ওঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী চিনে নিয়েছেন। জাতীয় স্তরে বামেদের শক্তি এখন বলার মতো নয়। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে আদর্শগত শক্তি বামেদেরই আছে, অন্য কারও নয়।’’

দেশ ও রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনা টেনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ দিন বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এখন বলছেন, বিরোধী থাকা সময়ে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করেননি! বলছেন, বিজেপির ‘বি’ টিম সিপিএম। এই যে এক দশকে বাংলার মানুষের স্মৃতি বিভ্রম ঘটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, এটাও দক্ষিণপন্থার কাজ।’’ সামনে পঞ্চায়েত ভোট বামেদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে সেলিমের মন্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েতের অধিকার আরজুনা বিবিদের (নন্দকুমারে আবাস যোজনা নিয়ে বিক্ষোভে যাঁর উপরে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে) কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। মনে করিয়ে দিতে হবে, ২০১৮ আর ২০২৩ এক নয়। পুনরাবৃত্তি সহজ হবে না!’’

অন্য বিষয়গুলি:

prakash karat CPM BJP RSS
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy