Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Congress

‘ইমান কেনা যাবে না’, বার্তা কংগ্রেসের

বিজেপির সাম্প্রদায়িক ও জন-বিরোধী নীতি এবং তৃণমূলের দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ১৫ জুন প্রদেশ কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

Symbolic Image.

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩ ১৩:৫০
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী ঐক্যকে জোরদার করতে বৈঠক হতে চলেছে পটনায়। অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বেরও সেই বৈঠকে থাকার কথা। ঘটনাচক্রে, সেই সময়েই দুই ‘অশুভ শক্তি’ বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়ে দলের শহিদ মিনার ময়দানের সমাবেশে মানুষকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাল প্রদেশ কংগ্রেস। সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘টাকার লোভ দেখিয়ে বিধায়ক কেনা’র অভিযোগও আনা হল। কংগ্রেসের এই বক্তব্যকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও।

বিজেপির সাম্প্রদায়িক ও জন-বিরোধী নীতি এবং তৃণমূলের দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ১৫ জুন প্রদেশ কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর তরফে নাগরিকদের উদ্দেশে যে খোলা আহ্বান প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের দলবদলের প্রসঙ্গ এনে বলা হয়েছে: ‘তৃণমূল টাকার লোভ দেখিয়ে বিধায়ক কিনতে পারে কিন্তু সাধারণ মানুষের ইমান কেনা যাবে না। তার প্রমাণ ঝালদা দিয়েছে, সাগরদিঘি তথা বাংলাও সুদে-আসলে প্রমাণ দিচ্ছে, দেবে আগামী দিনেও’। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেছেন, ‘‘বিজেপি-বিরোধী লড়াই আর উন্নয়নের কাজ করতে বিধায়ক (বাইরন) তৃণমূলে এসেছেন। তা নিয়ে ইমানের প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস নিজেদের অবস্থা ও অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে!’’

শহিদ মিনার ময়দানের ওই সমাবেশের জন্য প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্রকে চেয়ারম্যান করে একটি সাংগঠনিক কমিটি গড়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের পাশাপাশি কলকাতা ও সংলগ্ন সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের রাখা হয়েছে কমিটিতে। নেপাল মাহাতোকে মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে একটি প্রচার কমিটিও। রাজ্য ও জেলার বহু নেতা তালিকায় থাকলেও প্রদেশ কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে কোনও কমিটিতেই নাম নেই আব্দুল মান্নান, অমিতাভ চক্রবর্তী ও সন্তোষ পাঠকের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ওই আবেদনে বলা হয়েছে, কর্নাটকের ভোটে ভেদাভেদ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি পরাজিত হয়েছে। দেশের অন্যত্রও আগামী দিনে মানুষ স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন বলে দাবি করেছে কংগ্রেস।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE