পাটুলির বিদ্যাসাগর কলোনিতে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল বুধবার। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গেল, শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। অর্থাৎ, গায়ে আগুন তাঁর মৃত্যুর কারণ নয়। তবে বৃদ্ধার গায়ে আগুন লাগল কী ভাবে? তাঁর শ্বাসরোধই করল কে? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার পর্যন্ত বৃদ্ধার পুত্রের খোঁজ চলছিল।
পাটুলিতে নিহত বৃদ্ধার নাম মালবিকা মিত্র। বাড়িতে ছেলের সঙ্গে থাকতেন তিনি। তাঁর ছেলে একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। বুধবার বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের ইঙ্গিত মিলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কেউ বা কারা তাঁর নাকমুখ চেপে খুন করেছেন। তাঁর দেহে আগুন লাগানো হয়েছিল মৃত্যুর পর।
আরও পড়ুন:
বৃদ্ধার প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই বাড়ি থেকে তাঁরা ধোঁয়া বার হতে দেখেন। ধোঁয়া দেখে সন্দেহ হওয়ায় সেখানে যান কয়েক জন। তাঁরা দেখেন, ঘরের ভিতরে পড়ে আছেন বৃদ্ধা। তাঁর গায়ে আগুন ধরে গিয়েছে। তাঁর মুখের উপর একটি বালিশ চাপা দেওয়া ছিল বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। ঘরের ভিতরে আলমারি ছিল খোলা। এই সূত্রগুলি জুড়ে তদন্ত এগোতে চাইছে পুলিশ। তাঁরা জানতে পেরেছেন, প্রতি দিন বৃদ্ধাকে ঘরে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়েই ব্যাঙ্কে যেতেন তাঁর পুত্র। বুধবারও তাঁর অন্যথা হয়নি। কিন্তু তার পরে কে বা কারা ঘরে ঢুকলেন, কী ভাবে ঢুকলেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দরজা বাইরে থেকে বন্ধ থাকায় বৃদ্ধার পুত্রকেও সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। মায়ের দেহ উদ্ধারের পর বুধবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যুর খবর পেয়ে বুধবার পাটুলিতে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং সায়েন্টিফিক উইংয়ের সদস্যেরা। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর খুনের ধারাও যোগ করা হয়েছে।