ফাইল ছবি
সব কিছু ঠিক থাকলে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখোমুখি সাক্ষাতের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। উপলক্ষ লোকায়ুক্ত, তথ্য কমিশন এবং মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য ডাকা বৈঠক।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা বিধানসভার স্পিকারেরও। রীতি অনুযায়ী, এই ধরনের সাংবিধানিক পদে নিয়োগের বিযয়ে সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ও বিধানসভার স্পিকারকে নিয়ে গঠিত কমিটি। কেন্দ্রের ক্ষেত্রে কমিটিতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা এবং লোকসভার স্পিকার। দিল্লিতে ইদানীং এই ধরনের বৈঠকগুলি হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের অফিসে। রাজ্যের ক্ষেত্রে এই প্রথম বার বিধানসভা চত্বরের বাইরে বেরিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে এই বৈঠক বসতে চলেছে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে তাঁর দফতরে বৈঠকটি ডাকতে অনুরোধ করেছিলেন। সেই অনুরোধে সম্মান জানিয়েই নবান্নে এই বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে।”
বিধানসভা থেকে এখন অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিলম্বিত (সাসপেন্ডেড) বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। বিধানসভায় বৈঠক ডাকলে তাঁর পক্ষে উপস্থিত থাকা সম্ভব হত না। তাই যাতে বৈঠকে বিরোধী দলনেতার উপস্থিত থাকতে কোনও বাধা না থাকে, সেই কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী স্পিকারকে নবান্নে বৈঠক করার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে একটি সূত্রের বক্তব্য। ফলে, সব ঠিক থাকলে বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন মমতা ও শুভেন্দু। যা এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে নিঃসন্দেহে একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তবে শুভেন্দু শেষ পর্যন্ত বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগে তিনি ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আগাম তথ্য দেওয়া-সহ শর্তের কথা বলেছিলেন। তাঁর সঙ্গে এ দিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
মেসেজেরও জবাব আসেনি। বিধানসভায় বিজেপির সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, “আমি এই প্রথম শুনলাম বিষয়টা। এই নিয়ে আমি কিছু জানি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy