Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Bratya Basu

পড়ুয়াদের পায়ে চটি ও জুতো নেই, পাল্টা ব্রাত্য

কেন্দ্রের ওই বিবৃতিতে উচ্চ বিদ্যালয়ে স্মার্ট ক্লাস তৈরি করে সেখানে ৫-১০ কম্পিউটার থাকলেও তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

bratya basu

ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:০৫
Share: Save:

বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় পড়ুয়াদের অনেকের পায়ে না-আছে জুতো, না চটি। অথচ জানুয়ারিতে এই সব অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে।

বুধবারই এই অভিযোগকে সামনে রেখে প্রেস বিবৃতি জারি করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ৮ ও ৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ওই দুই জেলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ১৮ জনের প্রতিনিধি দল বিভিন্ন প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং কলেজে শিক্ষার অবস্থা, পরিকাঠামো ঘুরে দেখে যে রিপোর্ট দিয়েছে সেখানেই উঠে এসেছে এই অভিযোগ। বিবৃতির মাধ্যমে আরও অভিযোগ, বেশ কিছু স্কুলের পাঁচিল নেই, পরিশ্রুত পানীয় জল নেই। শৌচালয় তৈরি হলেও বেশিরভাগ স্কুলে তার রক্ষণাবেক্ষণ নেই। কিছু স্কুলে নির্ধারিত খাদ্যতালিকা মেনে মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে না। কিছু স্কুলে খোলা আকাশের নীচে মিড-ডে মিলের রান্না হচ্ছে। সেখানে রান্নাঘর নেই।

যদিও এই রিপোর্টটির বেশিরভাগই গেরুয়া রং দ্বারা প্রভাবিত বলে মনে করছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার, ব্রাত্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘খালি পায়ে বাচ্চাদের দেখেছে কেন্দ্রীয় দল। এটা ভিত্তিহীন। তারা জানে না, এখানে সমস্ত পড়ুয়াদের জুতো থেকে শুরু করে স্কুল পোশাক দেওয়া হয়। অনেক বার মিড-ডে মিলের কেন্দ্রীয় সরকারের অংশের টাকা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্র তা পূরণ করেনি। কোনও চিন্তা নেই। যে স্কুলগুলোতে রান্নাঘরের কোনও শেড নেই, আমাদের কাছে যেটুকু তহবিল আছে তা দিয়েই তার কাজ শুরু হয়েছে।’

কেন্দ্রের ওই বিবৃতিতে উচ্চ বিদ্যালয়ে স্মার্ট ক্লাস তৈরি করে সেখানে ৫-১০ কম্পিউটার থাকলেও তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও পুরনো বাতিল সিস্টেম দিয়ে কম্পিউটার চালানো, নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের কম্পিউটার চালাতে সমস্যা, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলেও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রশিক্ষণেরও অভাবের কথা ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রের এই প্রতিনিধি দল দুই জেলায় রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান (রুসা) ১ এবং ২ এর সুবিধাপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতেও যায়। রুসা ৩-এর এখন নতুন নামকরণ হয়েছে ‘পিএম উষা’। ওই প্রেস নোটে জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ রাজ্য স্বেচ্ছায় এই প্রকল্পে যোগ দিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ যেহেতু কোনও মউ স্বাক্ষর করেনি, তাই পরবর্তী পর্যায়ে এই রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া অসুবিধাজনক হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Bratya Basu TMC Education
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy