রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের ধমক খেয়ে বৃহস্পতিবার যে ভাবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে এফআইআর করেছে বিধাননগরের পুলিশ, তা নিয়ে সরব হয়েছে রাজনৈতিক মহল।
জিটিএ (গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)-তে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে আগেই বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল শিক্ষা দফতর। কিন্তু, তার ভিত্তিতে এফআইআর করেনি পুলিশ। বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সেই এফআইআর দায়ের হয়েছে।
এ দিন এ প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নামও রয়েছে। বোঝা যাচ্ছে এই দলটা রাজনীতিতে একেবারে ছোট বয়স থেকে ছেলে-মেয়েদের কলুষিত করছে। তারপর তারা বড় হয়ে আরও বড় দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছে।”
রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “দুর্নীতি যখন হয়েছে তখন পাহাড় থেকে সাগর সব জায়গায় হয়েছে। জঙ্গল কেঁদেছে, পাহাড়ও কাঁদবে, সেটাও স্বাভাবিক। জিটিএ তো একটা বেআইনি বিষয়।সেখানে তো দুর্নীতি হবেই।”
প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়ের কথায়, “এতদিন পুলিশ কী করছিল? পুলিশের টনক নড়েনি কেন? এই দুর্নীতির মাথায় যাঁরা আছেন, সেই কালীঘাট আর ক্যামাক স্ট্রিটকে এর জবাবদিহি করতে হবে।”
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতর যে তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছিল, সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ডিআই এবং বিনয় তামাঙের নাম ছিল।
সেখানে প্রান্তিক চক্রবর্তী কিংবা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নাম ছিল না। পরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর কাছে দু’টো উড়ো চিঠি পৌঁছয়। তিনি তদন্তের নির্দেশ দেন। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এফআইয়ার দায়ের করেছে। কিন্তু চিঠির সত্যাসত্য সম্পর্কে আমাদের মনে ধোঁয়াশা রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy