কলকাতা মেট্রো। —ফাইল চিত্র।
পাতাল রেলে চলন্ত ট্রেনের দরজায় হাত আটকে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের কাছে মেট্রো রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে বিষয়টি যে-হেতু পুরোপুরি ‘টেকনিক্যাল’ বা প্রযুক্তিজটিল, তাই বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ।
প্রতিদিন মেট্রোর প্রতিটি রেক পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে তবেই চালানো হয়। শনিবার যে-রেক দুর্ঘটনায় পড়ে, কোন ইঞ্জিনিয়ার সেটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিলেন, পুলিশের তরফে তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপরে পুলিশ জোর দিচ্ছে কেন?
তদন্তকারীরা জানান, রেলের সেফটি কমিশনার ওই ঘটনার তদন্ত করছেন। কোনও গাফিলতি ছিল কি না, সেফটি কমিশনারের রিপোর্ট হাতে এলে তা স্পষ্ট হবে। গাফিলতি থেকে থাকলে সেটা বা সেগুলো কোথায় ছিল এবং তার ধরনটা কী, একমাত্র বিশেষজ্ঞেরাই তা বুঝতে পারবেন। তাই তাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন বলে জানান এক পুলিশকর্তা। বিশেষজ্ঞ কারা, তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি।
লালবাজার জানিয়েছে, মৃত সজল কাঞ্জিলালের পরিবারের তরফে তাঁর এক আত্মীয় শনিবার রাতেই কসবা থানায় মেট্রো-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতিতে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সেটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় শেক্সপিয়র সরণি থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে শেক্সপিয়র সরণি থানা। দুর্ঘটনাস্থল (মেট্রোর পার্ক স্ট্রিট স্টেশন) ওই থানার অধীন। কলকাতা পুলিশ মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে মেট্রো-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪এ (গাফিলতিতে মৃত্যু ঘটানো) এবং ৩৪ ধারায় মামলা করেছে। শনিবারেই মৃতের ময়না-তদন্ত হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
পুলিশ জানায়, সাম্প্রতিক কালে মেট্রোর বিরুদ্ধে গাফিলতিতে মৃত্যুর কোনও মামলা দায়ের হয়নি। সে-দিক থেকে দেখতে গেলে পুলিশের কাছে এই তদন্ত এক কথায় নতুন। লালবাজারের একটি সূত্রে জানানো হয়, পুরো ঘটনা জানার জন্য দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের মোটরম্যান (চালক) সঞ্জয় কুমার, কন্ডাক্টিং মোটরম্যান (গার্ড) সুদীপ সরকারকে ডেকে পাঠানো হবে। ঠিক কী ঘটেছিল, সেটা জানতে চাওয়া হবে তাঁদের কাছে। কোনও কিছুতে বাধা পেলেই মেট্রোর স্বয়ংক্রিয় দরজা বন্ধ না-হয়ে খুলে যাওয়ার কথা। শনিবার কেন দরজা খুলে গেল না, তা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ। কোনও যান্ত্রিক বা প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকলে সেটা মোটরম্যানদের নজরে এসেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রেন ছাড়ার সময় চালক কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি বা সমস্যা লক্ষ করেছিলেন, পুলিশের তরফে তা-ও জানার চেষ্টা চলছে।
এক তদন্তকারী অফিসার জানান, মেট্রো চলার আগে দরজা বন্ধ না-হলে অ্যালার্ম বাজার কথা। শনিবার সেটি বেজেছিল কি না, তা তো যাচাই করা হচ্ছেই। সংশ্লিষ্ট ট্রেনের যাত্রী-প্রত্যক্ষদর্শীরা চালককে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। সেই জন্যই পুলিশের তরফে যাত্রী-প্রত্যক্ষদর্শীদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সেই সময় কর্মরত মেট্রোকর্মীদের নামের তালিকা এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজও চেয়ে পাঠানো হয়েছে মেট্রো রেল ভবনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy