নিউ টাউনে নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় ১৭ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউ টাউনের এক জঙ্গল থেকে কিশোরীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়, তাকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার দু’দিন পরে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত টোটোচালক। ওই ঘটনায় সোমবার বারাসত আদালতে চার্জশিট জমা করল বিধাননগর পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই মামলায় তদন্তকারী অফিসার ৬০ জন সাক্ষীর বয়ান সংগ্রহ করেছেন। ফরেন্সিক নথি, মেডিকো-লিগাল (আইন মোতাবেক শারীরিক পরীক্ষা) নথি, ডিজিটাল নথি খতিয়ে দেখা হয় তদন্তের সময়ে। ‘জিও-লোকেশন’ভিত্তিক নথিও খতিয়ে দেখা হয়। বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, ৯ পাতার চার্জশিট জমা পড়েছে আদালতে। ওই ঘটনায় দ্রুত বিচার শুরু করতে চাইছে পুলিশ।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি বেলার দিকে নিউ টাউনের লোহার ব্রিজের কাছে জঙ্গল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীর দেহ। স্থানীয়েরাই দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। প্রথমে কিশোরীর নাম বা পরিচয় কিছুই জানা যায়নি। দেহটি অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিল। তা থেকে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান হয়, কিশোরী যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছে। তার সঙ্গে কী ঘটেছিল জানার জন্য অকুস্থলের আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেখান থেকেই অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়। দু’দিন ধরে তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রেফতার করা হয় সেই টোটোচালককে।
আরও পড়ুন:
পরে তদন্তে অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। করা হয় ঘটনার পুনর্নির্মাণও। জঙ্গলে ঘেরা যে জমি থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্তকে। অপহরণের পর থেকে কী কী হয়েছে, তা জানতে অভিযুক্তকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরে পুলিশ।