মিছিল শুরুর আগেই মহিলা সমিতির নেত্রীদের আটক করছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবং মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে সিপিএমের মহিলা সংগঠনের মিছিল শুরুতেই আটকে দিল পুলিশ। ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারে মিছিল শুরুর আগেই বিরোধী দলের মহিলা নেতৃত্বকে আটক করে তুলে নিয়ে যাওয়া হল। মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের হাতে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন সিপিএমের নেত্রীরা। লালবাজার থেকে রাতে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
নারী নিগ্রহ ও ধর্ষণের লাগাতার ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ভবানীপুরে মিছিলের ডাক দিয়েছিল সিপিএমের সংগঠন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। তাঁদের দাবি ছিল, ‘বাংলা নিজের মেয়েদের নিরাপত্তা চায়’। জমায়েত করার কথা ছিল যদুবাবুর বাজারে। কিন্তু সেখানে মিছিলের জন্য মহিলা সংগঠনের নেত্রী, কর্মী বা সমর্থকেরা জড়ো হতেই তাঁদের প্রথমে সরিয়ে নিয়ে যান সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশ-কর্মীরা। পরে তাঁদের টেনে ভ্যানে তোলে উর্দি পরা মহিলা পুলিশ। আটক করা হয় মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ, দীপু দাস-সহ অন্য নেত্রীদের। সিপিএমের অভিযোগ, সিভিক পুলিশ এবং পুলিশ মিলে মিছিলকারী মহিলাদের টানাহ্যাঁচড়া ও মারধর করেছে, কয়েক জনের চোট লেগেছে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘ভবানীপুর শুনলেই কি মুখ্যমন্ত্রীর মাথার চুল খাড়া হয়ে যায়! একটা ঘোষিত মিছিলও করা যাবে না? বাংলা ‘নিজের মেয়ে’কে যথেষ্টই পেয়েছে। এখন রাজ্য জুড়ে মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? ময়নাগুড়ির নির্যাতিতা মেয়েটিও মারা গিয়েছে। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে নির্যাতিতার কোনও পরিবারের সঙ্গে বিরোধী নেতাদের দেখা করতে দেবে না বলে। পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে তৃণমূলের কর্মী হিসেবে!’’ মিছিল ঘিরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য না করতে চাইলেও তৃণমূল নেতা তাপস রায় অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘নারী নিগ্রহের ঘটনা ঘটলেই প্রশাসন দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। কিন্তু সিপিএম রাজনীতি করতে চাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy