এসএসসি উত্তীর্ণদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি সিঙ্গুরে। সোমবার। ছবি: দীপঙ্কর দে
পাঁচ বছর আগে তাঁরা এসএসসি (কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা) পাশ করেছেন। এখনও চাকরি পাননি। চাকরির দাবিতে সোমবার হুগলির সিঙ্গুর থেকে নবান্ন পর্যন্ত ‘লং মার্চ’ কর্মসূচি নিয়েছিলেন জনাপঞ্চাশ যুবক-যুবতী। কিন্তু বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আন্দোলনকারীরা এ দিন দুপুরে সিঙ্গুর স্টেশন থেকে এগোনোমাত্র পুলিশের বাধায় তা ভণ্ডুল হয়ে যায়। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তিতে আন্দোলনকারীদের পাঁচ জন এবং দুই মহিলা পুলিশকর্মী জখম হন।
পুলিশের দাবি, অতিমারি পরিস্থিতিতে জমায়েত করতে দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া, আন্দোলনকারীদের কাছে মিছিলের অনুমতি ছিল না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকার বলেন, ‘‘কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার যোগ্য প্রার্থীদের ইতিমধ্যে নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। যাঁরা আন্দোন করছেন, তাঁদের প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে।’’
‘এসএসসি যুব-ছাত্র অধিকার কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষা মঞ্চ’-এর উদ্যোগে এ দিনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে মিছিল হওয়ার কথা ছিল। আগে থেকে পুলিশ বাহিনী সিঙ্গুর স্টেশন চত্বরে উপস্থিত ছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকে
জমায়েত সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আন্দোলনকারীরা শোনেননি। তাঁরা এগোতেই বাধা দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৩৪ জনকে আটক করা হলেও সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়া হয়। জখম পাঁচ আন্দোলনকারীর মধ্যে দু’জনকে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়।
জখম আন্দোনকারীদের মধ্যে পূর্ণিমা দোলুই বলেন, ‘‘২০১৯ সালে কলকাতার মেয়ো রোডে প্রেস ক্লাবের সামনে আমরা চাকরির দাবিতে ২৯ দিন অনশন করেছিলাম। তখন সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তা পালন করা হল না।’’ সাফিয়া খাতুন নামে আর এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করতে চেয়েছিলাম। পুলিশ সহযোগিতা করেনি। দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এখান থেকে আন্দোলন করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাই এখান থেকে লং মার্চের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy