প্রতীকী ছবি।
দুঁদে গোয়েন্দারাও যে-সব অপরাধের রহস্যমোচনে সমস্যায় পড়েন, তার অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের সুলুকসন্ধান দেয় সন্ধানী কুকুর। সেই জন্য রাজ্যের সব জেলা ও কমিশনারেট এলাকায় পৃথক ডগ স্কোয়াড তৈরি করতে চাইছে পুলিশ। সেই জন্য ২১৬টি কুকুর কিনতে চায় তারা। সব জায়গায় তৈরি হবে কুকুরের ‘কেনেল’ বা আস্তানা। সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের তরফে এই মর্মে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে নবান্নে। দ্রুত প্রশাসনের সম্মতি মিলবে বলে পুলিশকর্তাদের আশা।
এখন বেশ কিছু কমিশনারেট বা জেলায় ডগ স্কোয়াড থাকলেও সব জায়গায় নেই। নবান্নে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কমিশনারেট, জেলা পুলিশ ও রেল পুলিশ মিলিয়ে ৩৮টি জায়গায় ডগ স্কোয়াড তৈরি করা হবে। প্রতিটি ডগ স্কোয়াডে থাকবে চারটি সারমেয়। তাদের মধ্যে দু’টি হবে ‘ক্রাইম ট্র্যাকার’, অন্য দু’টি হবে ‘স্নিফার’। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহের মতো সীমান্ত জেলা একটি করে অতিরিক্ত কুকুর পাবে। ডগ স্কোয়াডের জন্য পশুচিকিৎসক নিয়োগ করার প্রস্তাবও পাঠিয়েছে ভবানী ভবন।
রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, নতুন পুলিশ জেলা বা কমিশনারেটে কোনও দক্ষ সন্ধানী কুকুর নেই। তাই তদন্তের প্রয়োজনে বা অন্য কাজে ভিন্ জেলা থেকে কুকুর নিতে হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের হাতে কুকুর নেই। বিভিন্ন প্রয়োজনে মেদিনীপুর থেকে সেখানে কুকুর আনতে হয়।
ভবানী ভবন সূত্রের খবর, এখন রাজ্য পুলিশের হাতে ৬০টি কুকুর আছে। তাদের মধ্যে ১০টি থাকে ব্যারাকপুরে স্বামী বিবেকানন্দ ট্রেনিং সেন্টারে। অন্য কুকুরগুলি আছে বিভিন্ন জেলা, পুলিশ কমিশনারেট এবং রেল পুলিশের হাতে। কোনও জায়গায় দু’টির বেশি কুকুর নেই। নতুন প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে প্রতিটি ডগ ইউনিটে চার-পাঁচটি কুকুর থাকবে। তাতে অপরাধ দমন বা মাদক ও বিস্ফোরক শনাক্ত করতে সুবিধে হবে বলে মনে করছেন কর্তারা। এক থেকে দু’মাস বয়সের কুকুরদের ছ’মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের জন্য ইউনিটে পাঠানো হবে। পুরোদস্তুর চাকরি পাবে তারা। বেতন মিলবে নিয়মিত। বেতন খরচ হয় সংশ্লিষ্ট কুকুরকর্মীর পিছনেই।
রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, মূলত ল্যাব্রাডর ও জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুর কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। ল্যাব্রাডর গন্ধ শুঁকে শিকার খুঁজতে দক্ষ। তাদের ঘ্রাণশক্তি খুব তীক্ষ্ণ। শান্ত মেজাজ ও বুদ্ধিমান বলে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও তুলনামূলক ভাবে সহজ। জার্মান শেফার্ড মূলত ‘ক্রাইম ট্র্যাকার’। এই দুই প্রজাতি ছাড়াও পরে অন্য প্রজাতির কুকুর কেনা হতে পারে বলে পুলিশি সূত্রের খবর। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডে ৩৮টি কুকুর আছে। তারা অপরাধের মোকাবিলায় দক্ষ। আমরা চাই, রাজ্য পুলিশের সব ইউনিট যেন কুকুর বাহিনী নিয়ে দক্ষ হয়ে ওঠে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy