কলকাতা বিমানবন্দরে রোদ্দূর রায়। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী-সহ এক পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্যের অভিযোগে গোয়া থেকে ধৃত রোদ্দূর রায়কে কলকাতায় আনল পুলিশ। বুধবার রাতে তাঁকে রাখা হবে লালবাজারের লকআপে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ রোদ্দূরকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন পুলিশ আধিকারিকেরা। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। রাতে তাঁকে লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে রাখা হবে।
মঙ্গলবার রোদ্দূরকে তাঁর গোয়ায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের আধিকারিকেরা। গোয়ার আদালতে পেশ করে তাঁর ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করলে রোদ্দূরকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত, নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের পর কেকে-র আকস্মিক মৃত্যু এবং তার আগে বলিউডের ওই গায়ককে নিয়ে রূপঙ্কর বাগচির বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সে সব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-সহ একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে নিশানা করেন ইউটিউবার রোদ্দূর। ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিয়োতে মমতার পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ (ববি) হাকিম, পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়াল-সহ শহর এবং রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে রোদ্দূরের বিরুদ্ধে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
রোদ্দূরের ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই শনিবার চিৎপর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ঋজু দত্ত। নিজেকে তৃণমূলের মুখপাত্র হিসাবে পরিচয় দেওয়া ঋজুর দাবি, রোদ্দূরের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত।
ঋজুর অভিযোগের ভিত্তিতে রোদ্দূরের বিরুদ্ধে দাঙ্গা লাগানোর অভিপ্রায়ে উস্কানি দেওয়া, বিভিন্ন ধর্মীয়, জাতি ও ভাষাগত সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা তৈরির চেষ্টা, অন্যের সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য করা, মহিলাদের সম্ভ্রমহানির অভিপ্রায় এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারা (১৫৩, ১৫৩এ, ৫০১, ৫০৫, ৫০৯, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৪, ৪৭১, ১২০বি)-য় মামলা রুজু করে পুলিশ। সোমবার রাতে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে ছিলেন সাইবার অপরাধদমন শাখার আধিকারিকেরাও।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy