ধৃত: রামশঙ্কর সিংহ। নিজস্ব চিত্র
তাঁর লেটারহেড বলছে— তিনি এমবিবিএস (বায়োকেম), এমডি (বায়োকেম)। ডিআইএএমএস, ডিএমএলটি। এবং তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮০৬৩। ডাক্তারি শংসাপত্র পেয়েছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব প্যারামেডিক্যাল সোসাইটি থেকে।
প্রায় সাত বছর ধরে হাওড়ার বাউড়িয়ায় ফোর্ট গ্লস্টার এলাকার শ্রমিক আবাসনে চেম্বার খুলে তিনি প্র্যাকটিস করছিলেন। একটি ওষুধের দোকান এবং ক্লিনিকও খুলেছিলেন। কিন্তু সেই চিকিৎসক রামশঙ্কর সিংহকে ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহার করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার করল পুলিশ। পরে তাঁকে সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বায়োকেম-এর সঙ্গে এমবিবিএস ডিগ্রি ব্যবহার করা যায় না। আমাদের মনে হয়েছে এমবিবিএস কথাটি লিখে রামশঙ্করবাবু রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাচাইয়ের জন্য তাঁর সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য কাগজপত্র গোয়েন্দা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।’’ রামশঙ্করবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর ডিগ্রি বৈধ।
আরও পড়ুন: রাজ্যে কি ৫৫০ ভুয়ো চিকিৎসক!
পুলিশ সূত্রে খবর, গত নভেম্বরে রামশঙ্করবাবুর কাছে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বাউড়িয়ারই রামেশ্বরনগরের বাসিন্দা ভোলানাথ ভাণ্ডারী। কিন্তু ওই চিকিৎসায় ভোলানাথাবাবুর স্ত্রীর অবস্থার অবনতি হয়। তিনি স্ত্রীকে মানিকতলায় ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করান। ভোলানাথবাবুর অভিযোগ, ইএসআই এবং কলকাতার অন্য একটি হাসপাতাল জানায়, রামশঙ্করবাবু ভুল চিকিৎসা করেছেন। সোমবার এ নিয়ে ভোলানাথবাবুর সঙ্গে রামশঙ্করবাবুর বচসা হয়। ভোলানাথবাবু পুলিশে খবর দেন।
ভোলানাথবাবু বলেন, ‘‘আমি ওই চিকিৎসকের লেটারহেড দেখিয়ে কয়েকজন চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি জাল ডিগ্রি ব্যবহার করা হচ্ছে। তারপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy