দার্জিলিঙের সদ্য প্রাক্তন জেলাশাসক এস পুন্নবলমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজস্ব চিত্র
বিহারে ভোট প্রচারে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার মাত্র মিনিট দশেকের জন্য বাগডোগরায় নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্যেই তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির বিজেপির সাংসদরা তুললেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ। প্রোটোকল অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন দার্জিলিং জেলার জেলাশাসক এস পুন্নমবলম এবং শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারি অর্থবও। সূত্রের খবর, তাঁদের দু’জনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরে তিনি বায়ুসেনার কপ্টারে করে চলে যান বিহারের আড়ারিয়ায়।
এইটুকু সময়ের মধ্যে কী কথা হয়েছে? আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা বলেন, ‘‘উনি জানতে চান পরিস্থিতি কেমন। আমি বলি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল নয়।’’ অন্য সাংসদ এবং দলের নেতারাও একই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীকে। রাজ্যের তরফে প্রোটোকল অনুযায়ী তখন হাজির ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য বিনিময় ছাড়া কোনও কথা হয়নি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘তবে আমি দেখলাম দার্জিলিঙের জেলাশাসকের সঙ্গে তিনি কিছুক্ষণ কথা বলেছেন। তার পর পুলিশ কমাশনারের সঙ্গেও কথা বলেন। আমার মনে হল, এই দু’জনের সঙ্গেই উনি সব থেকে বেশিক্ষণ কথা বলেন।’’ একই কথা জানিয়েছেন সেখানে হাজির বিজেপি নেতারাও।
রাজ্যে যখন ৩৫৬ ধারা জারি নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ক্রমাগত বলছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে, সেই অবস্থায় জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার পর্যায়ের অফিসারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা বলা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। জেলাশাসক এস পুন্নমবলম অবশ্য বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সফর। নিয়ম মেনেই সেখানে থাকতে হয়। তেমন কোনও কথা হয়নি।’’
এ দিনই বাগডোগরা দিয়ে বিহারের কিষানগঞ্জে ভোট প্রচারে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীও। তিনি বেলা ১টা নাগাদ বাগডোগরায় নেমে হেলিকপ্টারে বিহার চলে যান। পরে সন্ধ্যার একটু আগে ফিরে শিলিগুড়িরই একটি হোটেলে রাতে থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy