জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চা বলয়ে ঢুকে পড়েছিল হাতি। সেই হাতিকে তাড়াতে আনা হল মাটি কাটার যন্ত্র! লোহার আঘাতে জখমও হয়েছে দাঁতাল। আর তা ঘিরে স্থানীয়দের আনন্দ উল্লাস জলপাইগুড়িতে। পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বন দফতর। বনকর্মীদের সূত্রে খবর, জখম হাতিটিকে নদী পার করিয়ে জঙ্গলে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। মাটি কাটার ওই যন্ত্র-গাড়ির চালক এবং মালিকের খোঁজ চলছে বল খবর বন দফতর সূত্রে।
শনিবার একটি হাতি বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে জলপাইগুড়ির মালবাজারের ডামডিম চা বাগানে ঢুকে পড়েছিল। অভিযোগ, সেখানে হাতিটিকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করেন বাগান কর্মীরা। তাঁদের তাড়া খেয়ে হাতিটি চা বাগান লাগোয়া একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে। সেখানেই মাটি কাটার যন্ত্র এনে হাতি তাড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। যন্ত্র-গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ জখম হওয়ার পর স্থানীয় একটি নজরমিনারেও ধাক্কা মারে হাতিটি। তাতেও আঘাত পায় সে। ওই সময়ে নজরমিনারে বেশ কয়েক জন ছিলেন। প্রাণের ভয়ে তাঁরা নীচে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তার ফলে কয়েক জন জখমও হন।
বন দফতর সূত্রে খবর, গ্রামে একটি হাতিকে উত্ত্যক্ত করার খবর পেয়েছিলেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলেও গিয়েছিলেন। কিন্তু ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে, ওই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। বনকর্মীদের অনুমান, অন্য একটি হাতির সঙ্গে লড়াইয়ের পর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চা বাগানে ঢুকে পড়েছিল পুরুষ হাতিটি। সেখানে হাতিটি ইট, পাটকেল ছুড়ে মারা হয়। টানাটানি করা হয় হাতির লেজ ধরেও। বন বিভাগ ও পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তাদেরও আহত হতে হয়। মাটি কাটার যন্ত্র এবং নজরমিনারে সংঘর্ষের ফলে মাথায় চোট পেয়েছে হাতিটি।
গরুমারা বন বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন বলেন, ‘‘ভিড় এতটাই ছিল যে, আমি এবং আমাদের কর্মীরা খানিক আহত হয়েছি। আমি নিজেই মাটিতে পড়ে গিয়েছিলাম। তবে ওই যন্ত্র-গাড়ির মালিক ও চালকের খোঁজ চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাতিটিকে দুটো নদী পার করিয়ে জঙ্গলে ফেরানো গিয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।’’