প্রতীকী ছবি।
শিল্পের পুনরুজ্জীবনের দিশা দেখাতে না পারার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। কর্মসংস্থানের সমস্যার উত্তর নেই বলেও কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনা হয়েছে। এ বার ওই বাজেটকে সম্পূর্ণ ভাবে কৃষি ও কৃষক-বিরোধী আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদের রাস্তায় যাচ্ছে কৃষক সংগঠনগুলি।
কৃষক-বিরোধী বাজেট এবং সরকারের কৃষি-নীতির প্রতিবাদে রাজ্যের ব্লকে ব্লকে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ ও পথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলির সম্মিলিত মঞ্চ ‘সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি’। পরীক্ষার মরসুম বলে ১৩ তারিখ ১০ মিনিটের জন্য গ্রামীণ এলাকায় প্রতীকী অবরোধ হবে। পোড়ানো হবে বাজেটের প্রতিলিপি। প্রতিবাদ, মিছিল, সভা চলবে ১৩ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি। এ রাজ্যে ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়া, কৃষকদের আত্মহত্যার তথ্য চেপে দেওয়ার অভিযোগ-সহ নানা বিষয়েও প্রতিবাদ জানানো হবে ওই কর্মসূচির মাধ্যমে।
সমন্বয় কমিটির তরফে অমল হালদার, অজিত মুখোপাধ্যায়, কার্তিক পাল, হাফিজ আলম সৈরানি, অভীক সাহারা বৃহস্পতিবার অবিযোগ করেছেন, গ্রামীণ অর্থনীতিকে একেবারে শুষে নেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে এ বারের বাজেটে। একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ৯১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ কেটে দেওয়া হয়েছে, খাদ্যশস্যের উপরে ভর্তুকি হ্রাস ধরলে সব মিলিয়ে ছাঁটা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী যে শস্যবিমার কথা বলেন, তার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ২২-২৩% মানুষ। সমন্বয় কমিটির নবনিযুক্ত আহ্বায়ক এবং সিপিএমের কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক অমলবাবুর কথায়, ‘‘দেশে আবার খাদ্যসঙ্কটের দিন এগিয়ে আসছে। সারা দেশের মতো এ রাজ্যেও কৃষকেরা ফসলের অভাবি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ক্ষুদ্র সঞ্চয়, পেনশনেও কোনও নিশ্চয়তা রাখেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই চলবে।’’
নৃপেন চৌধুরীর জায়গায় সমন্বয় কমিটির নতুন আহ্বায়ক হয়েছেন অমলবাবু। কমিটির বৈঠকের পরে এ দিন সৈরানি বলেন, ‘‘কর্পোরেটের হাতে কৃষি তুলে দিয়ে কৃষকদের কৃষি-শ্রমিকে পরিণত করতে চায় সরকার। আমরা এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy