রাত ১০টা ৪০ মিনিটের বিশেষ মেট্রো পরিষেবা ঘিরে বৃহস্পতিবার নজিরবিহীন ভোগান্তিতে পড়লেন যাত্রীরা। ওই দিন কবি সুভাষ অভিমুখে রাতের মেট্রোর যাত্রীরা প্রায় দু’ঘণ্টা দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছন। উল্টো দিকে, বিভ্রাটের জেরে কবি সুভাষ থেকে রাত ১০টা ৪০ মিনিটের ট্রেন সময় মতো ছাড়তে পারেনি। ওই স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ছাড়ে রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে। সেটি দমদমে পৌঁছয় রাত পৌনে দুটোয়। অভিযোগ, মেট্রো কর্তৃপক্ষ বিপত্তির নির্দিষ্ট কারণও জানাননি। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান। মেট্রো কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, কবি সুভাষ স্টেশনে কারশেডের মুখে একটি রেক আচমকা বিকল হয়ে পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। তবে মেট্রোর তরফে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে দমদম থেকে কবি সুভাষগামী মেট্রো ছাড়লেও ওই একই সময়ে কবি সুভাষ থেকে দমদমগামী ট্রেন ছাড়তে পারেনি। কারশেড থেকে বেরিয়ে কিছু দূর গিয়ে থার্ড রেলের বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, এমন জায়গায় বিকল হয়ে যায় রেকটি। সেটি সরাতে না পারায় ১০টার পর থেকে কবি সুভাষ অভিমুখে একের পর এক ট্রেনের দেরি হতে থাকে। ওই সব ট্রেন কবি নজরুল, শহিদ ক্ষুদিরাম-সহ বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে। ভোগান্তি এখানেই শেষ হয়নি। দমদম থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ রবীন্দ্র সরোবরে পৌঁছে আচমকা থমকে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরে ট্রেনটি টালিগঞ্জ পৌঁছলে যাত্রীদের নেমে যেতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার ইডেনে আইপিএলের খেলা ছিল। তার জন্য রাত ১২টায় এসপ্লানেড থেকে কবি সুভাষ এবং দমদম অভিমুখে বিশেষ ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। খেলা আগে শেষ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা আগেই চলে আসেন। কিন্তু কবি সুভাষে কারশেডের বিভ্রাটে সেখানে রাত ১০টা ৪০ মিনিটের মেট্রো বা রাত ১২টার মেট্রো— কিছুই পৌঁছয়নি। মেট্রো না পেয়ে ক্ষিপ্ত যাত্রীরা প্রবল বিক্ষোভ দেখান।
অন্য দিকে, টালিগঞ্জে নেমে যাওয়া যাত্রীদের এসপ্লানেড থেকে আসা বিশেষ মেট্রোয় উঠতে বলা হয়। ওই যাত্রীদের যে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়, সেটির দরজা আটকে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। এর পরে খালি ট্রেনটি ফের এসপ্লানেড পাঠিয়ে আইপিএলের যাত্রীদের ফেরার ব্যবস্থা করা হয়। এ দিকে, এসপ্লানেড থেকে আসা ট্রেনটি ১২টা ৪০ মিনিটে কবি সুভাষে পৌঁছনোর পরে সেখান থেকে ১২টা ৪৫ মিনিটে দমদম অভিমুখে যাত্রী নিয়ে রওনা হয়। ভোগান্তির পিছনে মেট্রো কর্তৃপক্ষ রেক বিভ্রাটকে দায়ী করলেও যাত্রীরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতাকে দুষছেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)