প্রতীকী ছবি।
চূড়ান্ত সিমেস্টার এবং চূড়ান্ত বর্ষের (পার্ট থ্রি) যে-সব পড়ুয়া ‘ব্যাক’ পেয়েছেন, তাঁদের পাশ করাতে বৃহস্পতিবার একটি সূত্র দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। এ দিন সিন্ডিকেটের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সিমেস্টার বা সংশ্লিষ্ট বর্ষে পড়ুয়া যে-পেপার বা পত্রে সর্বাধিক নম্বর পেয়েছেন, তারই ভিত্তিতে তাঁকে ‘ব্যাক’ পেপারে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। তবে ‘ব্যাক’ পত্রে পাশের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক বেধেছে।
বিএ, বিএসসি চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা দফতরের পরামর্শ-নির্দেশিকা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ২০% কলেজের টেস্টের নম্বর থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্নাতকোত্তরে এই ২০% নম্বর কী ভাবে দেওয়া হবে, তা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বিভাগীয় কমিটি এবং ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের হাতে। বৈঠকে সরকারি পরামর্শপত্রেই সিলমোহর দেওয়া হল।
উচ্চশিক্ষা দফতরের পরামর্শ-নির্দেশিকায় বলা হয়েছে চূড়ান্ত সিমেস্টারের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে আগের সিমেস্টারগুলির মধ্যে যেটির ফল সব চেয়ে ভাল, তার থেকে ৮০% নম্বর নেওয়া হবে। বাকি ২০% নম্বর আসবে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন থেকে। চূড়ান্ত বর্ষের ক্ষেত্রে আগের দু’টি বর্ষের মধ্যে যেটির ফল সব চেয়ে ভাল, তার থেকে ৮০% এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন থেকে ২০% নেওয়া হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ, বিএসসিতে এখনও পুরনো পদ্ধতি অর্থাৎ তিন বছরের পঠনপাঠন রয়েছে। এই পদ্ধতিতে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন হয় না। তাই এ ক্ষেত্রে টেস্টের ফলের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। অনেক অধ্যক্ষের বক্তব্য, বহু কলেজে টেস্ট হয় না। পড়ুয়ারা পরীক্ষায় বসেন হাজিরার ভিত্তিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পড়ুয়াদের ৬০% হাজিরা থাকতে হয়। কোনও কোনও কলেজে টেস্ট নেওয়া হলেও সেটাকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, আইন-সহ পেশাগত কোর্সের ক্ষেত্রে ৮০% নম্বর অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন, মিক্সি মাস্টারের মূল্যায়ন বা আগের সিমেস্টারে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর থেকে দেওয়া হবে। ২০% শতাংশ দেওয়া হবে অ্যাসাইনমেন্ট থেকে। স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমার ক্ষেত্রে আগের সিমেস্টার এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন থেকে নম্বর দেওয়া হবে। কোনও পড়ুয়া ফলে খুশি না-হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষায় বসতে পারবেন। শিক্ষক সমিতির (কুটা) সাধারণ সম্পাদক সাংখ্যায়ন চৌধুরীর মন্তব্য, শিক্ষকদের মতের ভিত্তিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে মান্যতা দিয়ে বিষয়গত মূল্যায়নকে গুরুত্ব দেওয়া যেত। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার বিকিয়ে দেওয়া হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy