—নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের জেরে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই অভিযান হিংসার চেহারা নেওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সদ্য জন্ম নেওয়া সংগঠনের নাম। ছাত্র সমাজের আড়ালে যে বিজেপির মদত রয়েছে তা বুঝিয়ে পদ্মশিবির নবান্ন অভিযানের পরের দিনে বাংলা বন্ধও ডাকে। এ বার দ্বিতীয় অভিযানের প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে একে সাংগঠনিক চেহারাও দিতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। তার জন্য ইতিমধ্যেই অনলাইনে সদস্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এর পরে জেলাভিত্তিক সংগঠনেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
নবান্ন অভিযানের আগে তাঁদের কোনও সংগঠন নেই দাবি করে প্রকাশ্যে আসেন কয়েক জন। তাঁদেরই অন্যতম কলকাতার বাসিন্দা সায়ন লাহিড়ীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। প্রথমে কলকাতা হাই কোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টও তাঁর জামিনের পক্ষে রায় দেয়। এ বার সায়নেরা সংগঠনকে মজবুত করতে চাইছেন। সায়ন বলেন, ‘‘নবান্ন অভিযানে আমরা সমাজমাধ্যমে প্রচার করে অনেক মানুষের সমর্থন পেয়েছি। তাঁদের সকলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগও হয়নি। তাই শনিবার থেকে আমরা সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছি। প্রথম দিনেই তিন হাজারের বেশি সদস্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন।’’
সায়ন জানিয়েছেন, আপাতত তাঁরা সমাজমাধ্যমেই সদস্য হওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। সেখানে কোন লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা চলতে চান তারও উল্লেখ রয়েছে। ছাত্র সমাজের ফেসবুক পেজে দাবি করা হয়েছে, ১১ দফা লক্ষ্য নিয়েই তাঁরা এগোতে চান। তাতে বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা যেমন রয়েছে তেমন ছাত্র সমাজের মধ্যে নেতৃত্বগুণের বিকাশের প্রতিও লক্ষ্য রাখা হয়েছে। সায়ন বলেন, ‘‘জেলা ও ব্লক স্তর থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ রয়েছে, এমন পড়ুয়াদের আমরা সদস্য হিসাবে চাইছি। আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমাজের উন্নয়নে যাঁরা কাজ করতে চাইবেন তাঁদের আমরা সঙ্গে নেব। আপাতত প্রতিটি জেলায় এক এক জনকে কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’’
সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি দ্বিতীয় অভিযানের পরিকল্পনাও তাঁরা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সায়ন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম কর্মসূচিতে পুলিশ অনেককে গ্রেফতার করে। এখনও ৭০ জনের মতো ছাত্র রয়েছেন, যাঁদের জামিন হয়নি। আইনি লড়াই চলছে। আদালতে জয় পেলেই আমাদের দ্বিতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে সেটা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না। এখনও তা চূড়ান্ত চেহারাও নেয়নি।’’ তবে দ্বিতীয় অভিযান পুজোর আগেই হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সায়ন। প্রসঙ্গত, সদস্য সংগ্রহ অভিযানের জন্য যে অনলাইন ফর্ম রয়েছে তাতে কোন ধরনের কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে, তা নতুন সদস্যদের কাছেও জানতে চেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy