Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ইঞ্জিনিয়ারিং-জট কাটাতে জয়েন্ট এগোনোর ভাবনা

কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে আসন ফাঁকা থাকছে। ১১৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন-সংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি।

মঙ্গলবার সরকারি ও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এগিয়ে আনার প্রস্তাব দেয় বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির সংগঠন (আপাই)।

মঙ্গলবার সরকারি ও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এগিয়ে আনার প্রস্তাব দেয় বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির সংগঠন (আপাই)।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৯ ০১:৫৪
Share: Save:

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আসন ভরাতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এবং কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া এগিয়ে আনা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য সরকার।

মঙ্গলবার সরকারি ও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এগিয়ে আনার প্রস্তাব দেয় বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির সংগঠন (আপাই)। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ভাবনাচিন্তা করবেন, কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও।

কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে আসন ফাঁকা থাকছে। ১১৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন-সংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। এ বছর কেন্দ্রীভূত কাউন্সেলিংয়ের পরে দেখা যায়, ২১ হাজারেরও বেশি আসন ফাঁকা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও ২৬১টি আসন খালি ছিল। রাজ্য সরকারের নির্দেশে বিকেন্দ্রীভূত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল কলেজগুলি। যাদবপুর তার পরে আসন ভরাতে পারলেও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি পারেনি। ১৫ হাজারেরও বেশি আসন এখনও ফাঁকা পড়ে রয়েছে। গোটা দশেক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কিছু কিছু পড়ুয়া পেলেও বাকিদের অবস্থা খুবই করুণ।

এ দিনের আলোচনায় উঠে আসে, জয়েন্টের ফল দেরিতে বেরোনোর ফলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাওয়া বাংলার অনেক ছাত্রছাত্রী ভিন্‌ রাজ্যে চলে যান। ফলে রাজ্যের অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পড়ুয়া পায় না। আপাইয়ের সচিব সত্যম রায়চৌধুরী উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরোনোর আগে জয়েন্টের ফল ঘোষণা ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেন এ দিনের বৈঠকে। তাঁর বক্তব্য, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের আগে জয়েন্টের ফল বেরোলে এবং কাউন্সেলিং হলে পড়ুয়ারা রাজ্যের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়ে যেতে পারবেন। তা হলে ভিন্‌ রাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা কমতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের আগে কাউন্সেলিং হলে পরে যদি দেখা যায় যে, মনোনীত কোনও পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করেছেন, তখন কী হবে? বৈঠকে ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘তা হলে সঙ্গে সঙ্গেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সেই পড়ুয়ার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে।’’

এ দিন আসন ভরাতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে এমবিএ, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট কোর্সের মতো পাঠ্যক্রম চালু করার প্রস্তাবও দেয় আপাই। কলেজগুলির অধ্যক্ষদের বক্তব্য, এই সব কলেজের পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য পাঠ্যক্রমও চালু করা যেতে পারে। তা হলে পড়ুয়ার অভাবে ধুঁকতে থাকা কলেজগুলো বেঁচে যাবে। ‘‘আমি আপাই-কে বলেছি, তারা যেন তাদের নতুন প্রস্তাবগুলি লিখিত ভাবে পেশ করে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব,’’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা যায় কি না, সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে এ দিন জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘পরীক্ষা নিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দেরি হচ্ছে। অনেক সময় তৈরি হয় আইনি জটিলতা। তাই বিকল্প পদ্ধতির কথা ভাবা হচ্ছে।’’ শিক্ষামন্ত্রী জানান, অন্যান্য রাজ্যে কী ভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, তা-ও দেখা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Partha Chatterjee Engineering Education
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy