রবিবার বিকেলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। কাঁথির পুরভোটে শিশিরের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই পার্থ বলেন, ‘‘আমরা সবার উপরেই নজর রাখছি। দলনেত্রী স্বয়ং এ বিষয়ে নজর রেখে চলেছেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলবিরোধী কাজ করে কেউ যাতে পার না পায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।’’
শিশির অধিকারী এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফাইল চিত্র।
কাঁথি পুরসভা ভোটে শিশির অধিকারীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার বিকেলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। কাঁথির পুরভোটে শিশিরের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই পার্থ বলেন, ‘‘আমরা সবার উপরেই নজর রাখছি। দলনেত্রী স্বয়ং এ বিষয়ে নজর রেখে চলেছেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলবিরোধী কাজ করে কেউ যাতে পার পেয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।" তিনি আরও বলেন, ‘‘যাঁরা দলে থেকে প্রকাশ্যে বিজেপি-র হয়ে কাজ করছেন তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। কাউকে ছাড়া হবে না। তা তিনি যেই হোন না কেন!’’
প্রসঙ্গত, শনিবার কাঁথি পুরসভার ভোটের একদিন আগে একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে শোনা যায়, শিশির এলাকার এক তৃণমূল নেতাকে বলছেন শুভেন্দুর প্রার্থীকে যেন দেখা হয়। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। অডিয়ো নিয়ে শোরগোল শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টি আসে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। রবিবার তৃণমূল ভবনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয় শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে। কাঁথির পুরভোটের দিনেও শিশিরের ভূমিকায় নজরে ছিল তৃণমূলের। তাঁর ভূমিকায় একেবারে সন্তুষ্ট নন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বাংলার রাজনীতির কারবারিদের মতে, এ বার শিশিরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতেই পারেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
গত বছর বিধানসভা ভোটের সময় ১ মার্চ এগরায় অমিত শাহের জনসভায় হাজির হন শিশির। তার আগে ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিলে শিশিরকে সরানো হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে। বিজেপি-র জনসভায় হাজির হওয়ায় লোকসভার স্পিকার ও মিডিয়ার কাছে তার সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, এ বার তার স্পিকারের ভরসায় না দেখে দলগত ভাবে এই প্রবীণ সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy