পার্থ চট্টোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
জেল সুপারের তরফে তাঁর ভার্চুয়াল শুনানির জন্য আবেদন করা হয়েছিল আলিপুর আদালতে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে স্পষ্টই জানালেন, আদালতে আসতে চান তিনি। সশরীরে হাজিরা দিতে চান।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে আলিপুর আদালতে গেলেও কোর্ট লকআপ থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দেন পার্থ। এজলাস কক্ষে হাজির করানো হয়নি তাঁকে। অন্য দিকে, প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের তরফে আদালতে আবেদন করা হয়েছে, পার্থের পরবর্তী শুনানি ভার্চুয়াল মাধ্যমে করা হোক। এই প্রসঙ্গে পার্থের বক্তব্য শুনতে চান বিচারক। তিনি বলেন, ‘‘আপনি কি আসতে চাইছেন? আপনি যদি সশরীরে হাজিরা দিতে চান, তা হলে আমি জেলের আবেদন খারিজ করতে পারি। না হলে আমি জেলের আবেদন মেনে নিচ্ছি।’’
জবাবে পার্থ স্পষ্টই জানান, তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে সশরীরে হাজিরা দিতে চান। তাঁর কথায়, ‘‘না স্যার আমি আসতে চাই।’’ বিচারক এর পর জানান, তা হলে কিন্তু তাঁকে আদালতের এজলাস কক্ষেও আসতে হবে। বিচারক বলেন, ‘‘সশরীরে হাজিরা তো ভাল। আপনি পারবেন কী?’’ তাতেও রাজি হন পার্থ। তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি সশরীরে আসব।’’
গত ২৩ নভেম্বর আলিপুর আদালতে উপস্থিত হয়েও সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে এজলাস কক্ষে পৌঁছতে পারেননি পার্থ। তাঁর দুই পা ফুলে ছিল। সে কারণে কোর্টের লকআপ রুমে বসেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই প্রেসিডেন্সি জেলের তরফে সেখানে বসেই পার্থের ভার্চুয়াল শুনানি করানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু পার্থ আদালতে আসতে চেয়ে একপ্রকার নাছোড়। বৃহস্পতিবারও তিনি বলেন, ‘‘আমি আদালতে এসেছি। এসে চুপচাপ বসেই আছি।’’ এর পরেই বিচারক মনে করিয়ে দেন, আদালতে এসে এজলাস কক্ষে না এলে আর চলবে না। পার্থ তাতেও সম্মতিই দিয়েছেন।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ। ইডির মামলায় বিচার ভবনে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই যোগ দেন পার্থ এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের করা মামলায় আলিপুর আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে আর ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিতে চান না পার্থ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy