—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটে নানা অনিয়ম এবং গণনায় কারচুপির অভিযোগে মামলা চলছে আদালতে। নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলকে চূড়ান্ত বলে ধরা যাবে না, এমনই বলেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশের কথা জেলাশাসকদের লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে। তার পরেও জেলায় জেলায় কী ভাবে দিন ধার্য করে পঞ্চায়েতের বোর্ড গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে, সেই প্রশ্নে সরব হল বিরোধীরা। আইন ভঙ্গ এবং আদালত অবমাননার অভিযোগে ফের আইনি পথে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর অবশ্য বলছে, বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে আদালতের কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি এবং নতুন বোর্ড গঠনের দিন ধার্য করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি ব্লকের বিডিও-র নির্দেশের প্রতিলিপি পাশাপাশি তুলে ধরে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে প্রশাসন নোটিস দিল যে, পঞ্চায়েতে আপাতত কাউকে জয়ী বলা যাবে না। পরের শুনানি আগামী ১৭ অগস্ট। এর মধ্যে নির্বাচিত তালিকার গেজেট বিজ্ঞপ্তি হয় কী ভাবে? শুনানির আগেই বোর্ড গঠন কী ভাবে? আদালত অবমাননা তো বটেই, বেআইনি কাজও!’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘আইন-কানুন সবই জলাঞ্জলি দিচ্ছে মমতার প্রশাসন!’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বলেছেন, ‘‘নিয়ম-কানুন, সংবিধান কোনও কিছুই এই রাজ্য সরকার মানে না!’’ আগামী সপ্তাহেই বিষয়টি আদালতের নজরে আনার চেষ্টা হতে পারে বলে বিরোধী শিবির সূত্রের খবর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, আগামী ১৬ অগস্টের মধ্যে শান্তিপূর্ণ ভাবে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে। অর্থাৎ পঞ্চায়েত সংক্রান্ত ওই মামলার পরবর্তী শুনানির আগেই। সেইমতোই কোথাও ৮, কোথাও ১০, ১১ বা ১২ তারিখ বোর্ড গঠনের দিন ধার্য করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘বোর্ড গঠনে আদালতের কোনও নিষেধাজ্ঞা আছে বলে আমার জানা নেই। কোনও নির্দিষ্ট মামলা প্রসঙ্গে এ রকম বলা হয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা।’’ শুধু তা-ই নয়, ১৬ তারিখের মধ্যে বোর্ড গঠনের প্রয়োজন ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘‘এই সময় পেরিয়ে গেলে পঞ্চায়েতের তিন স্তরের কাজকর্মই প্রশাসকের হাতে নিতে হবে। আর পঞ্চায়েত আইনে প্রশাসকের হাতে আর্থিক ক্ষমতা না থাকায়, তাঁরাও কোনও কাজ করতে পারবেন না।’’ বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন, ৬ মাস প্রশাসক রাখার সংস্থান আইনেই আছে এবং এই রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত বা পুরসভার ক্ষেত্রে সেই সংস্থান অজস্র বার ব্যবহার করেছে। তা হলে এখন আদালতে মামলা থাকা সত্ত্বেও এত তাড়াহুড়ো কেন? এতে অনর্থক জটিলতা বাড়বে বলে বিরোধীদের আশঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy