প্রতীকী চিত্র। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
১৭ মার্চ, দিন ১
সকালে হাসপাতালে এলাম। আমাকে ভর্তি করে নিল। পুরোপুরি আইসোলেশন। সবার থেকে বিচ্ছিন্ন একটা ওয়ার্ড। নোভেলকরোনা আমার হয়েছে কি না, এখনও জানি না। কিন্তু ইউকে-তেই আমাদের বলে দেওয়া হয়েছিল, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। নিজেকে অন্য সবার থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারটা দেখিয়ে নিতে হবে। সব পরামর্শই আমি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলছিলাম। ডাক্তার দেখাতে এসে জানতে পারলাম, আমাকে ভর্তি হতে হবে।
হাসপাতালে এ ভাবে কখনও ভর্তি হতে হয়নি আগে। পরিস্থিতিটা একটু অন্য রকমই। খুব চেনা পরিস্থিতি নয়। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হতে হল বলে যে খুব অস্বস্তি বোধ করছি, তেমন নয়। দুপুরে ভাত, ডাল, আলুর একটা তরকারি আর মাছের ঝোল খেলাম।
সকালেই স্যাম্পল নিয়ে গিয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্টটা এলে বুঝতে পারব আমি সংক্রামিত কি না।
আরও পড়ুন: ৫ লাখের তালিকায় দেশের অষ্টম রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, তবে কমছে সক্রিয় রোগী
১৮ মার্চ, দিন ২
কাল অনেক রাতে রিপোর্টটা এসেছে। পজিটিভ। মানে আমি নোভেলকরোনায় আক্রান্ত। এখন কিছু দিন এখানেই কাটাতে হবে সম্ভবত।
ইউকে-তে সাঙ্ঘাতিক ভাবে ছড়িয়েছে রোগটা। ফেরার সময়ে অসুস্থ লাগছিল না। কিন্তু রিপোর্ট বলছে আমি সংক্রমণের শিকার। আমাকে ক’দিন হাসপাতালে থাকতে হবে, ডাক্তার কিছু বলেননি।
অসুবিধা নেই। একা থাকতে আমার অসুবিধা হয় না। অক্সফোর্ডেও তো একাই থাকি, নিজের সঙ্গেই নিজে সময় কাটাই। হ্যাঁ, ওখানে পড়াশোনা থাকে, ইউনিভার্সিটির আরও নানা অ্যাক্টিভিটি থাকে, সেটা ঠিক। এখানে সে সব কিছুই নেই। তাই বই এনেছি, খাতা এনেছি। মোবাইলটাও রয়েছে, তাই মুভিও রয়েছে। সময়টা কাজে লেগে যাবে, নষ্ট হবে না।
লাইনে দাঁড়িয়েই বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েছিলেন অক্সফোর্ড ফেরত তরুণ। মুখে মাস্কও ছিল। ১৫ মার্চের সিসিটিভি ফুটেজ তুলে ধরে সে কথাই আবার জানিয়েছে পরিবার। —নিজস্ব চিত্র।
১৯ মার্চ, দিন ৩
খাওয়া-দাওয়াটা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছিল। ডাক্তার, নার্সদের বলেছিলাম। এখন আর অসুবিধা নেই। সকালে পাউরুটি, ডিম, কলা আর দুধ দিয়েছিল। হাঁটাচলা বা পরিশ্রম সে ভাবে নেই। সারা দিনই বিশ্রাম। শুধু নিজের জামাকাপড় রোজ নিজে কেচে নিচ্ছি। ঘরটাও নিজে পরিষ্কার রাখছি। তবে আমার জন্য ওইটুকু যথেষ্ট পরিশ্রম নয়। দুপুরে খিদে তেমন পাচ্ছে না আজকাল। তবু লাঞ্চ তো স্কিপ করা যাবে না। তাই অল্প একটু খেতেই হচ্ছে। মেনু ওই একই— ভাত, ডাল, আলুর তরকারি, মাছ।
রাতে মাছের বদলে ডিম থাকছে। তবে রাতে খিদের সমস্যা তেমন হচ্ছে না দেখছি। আসলে লাঞ্চ আর ডিনারের মাঝে সময়ের ফারাকটা যথেষ্ট। তাই আর অসুবিধা হচ্ছে না।
অসুবিধা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ পড়লে। ফেসবুকে আমাকে নিয়ে, আমার মা-বাবাকে নিয়ে অনেক রকমের কথা হচ্ছে। সেটা একটু শকিং লাগছে। যা যা লেখা হচ্ছে, আমাদের যে ভাবে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেটা দেখে একটু অবাক হয়ে যাচ্ছি। যাঁরা ফেসবুকে এই সব পোস্ট করছেন, তাঁরা কেউ কিন্তু আমাদের চেনেন না। আর যা লিখছেন, পুরোটাই না জেনে লিখছেন। আমি কিন্তু ইউকে থেকে ফেরার পরে কোথাও যাইনি। সিনেমা হলে, পার্কে, শপিং মলে— কোথাও যাইনি। বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা করতে যাইনি।
যাইনি তার কারণ, আমি জানতাম যে, আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ না হলেও আমাকে হেল্থ প্রোটোকল মানতে হবে। প্রিকশনের ব্যাপারে ভেবে নিয়েছিলাম। টেস্ট করানোর আগে কারও সঙ্গে দেখার করার প্রশ্নই ওঠে না। মা-বাবার কাছাকাছিও যাইনি আমি। অন্য কারও সঙ্গে মেলামেশা করা তো দূরের কথা।
আরও পড়ুন: ১০ বছরে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ শিকার হবেন চরম দারিদ্র্যের, রাষ্ট্রপুঞ্জের গবেষণায় দাবি
২০ মার্চ, দিন ৪
ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ আমি আপাতত খুলছি না। একটু ক্লান্তও লাগছে। দুপুরে এমনিতে আমি ঘুমোই না। কিন্তু এখন রোজ দুপুরে একটা ক্লান্তির ঘুম আসছে। ঘণ্টা দুয়েক ঘুমিয়ে নিচ্ছি। রাতেও ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমোচ্ছি। বাড়িতে থাকলে আমি সারা দিনে সাড়ে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমোই না।
পেটটাও একটু বিগড়েছে। ডাক্তারকে জানিয়েছি। ওষুধ দিয়েছেন, খাচ্ছি। তবে করোনার জন্য কিন্তু আলাদা করে সে ভাবে কোনও ওষুধ খেতে হচ্ছে না। শুধু ডাক্তার-নার্সদের অবজার্ভেশনে আছি। আর বিশ্রামে আছি। পেটটাও সেরে যাবে আশা করছি।
২১ মার্চ, দিন ৫
ইন্টারনেটে পাবলিক শেমিং নিয়ে একটু পড়াশোনা করছিলাম। এটা খুব নতুন প্রবণতা নয়। অনেক দিনের প্রবণতা। সব দেশেই এই প্রবণতা রয়েছে। আমিই এর প্রথম শিকার নই, একমাত্র শিকারও নই।
তবে আমি জানি, আমি কোনও ভুল করিনি। আমি সব রকম প্রিকশন নিয়েই দেশে ফিরেছি।
যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের নিয়ে নানা রকম লিখছেন, তাঁদের অবস্থাও অবশ্য আমি বুঝতে পারছি। এই রকম সাঙ্ঘাতিক একটা রোগ ছড়িয়েছে। এত বড় মহামারি আমি তো আগে দেখিনি। আরও অনেকেই বোধ হয় দেখেননি। আতঙ্ক তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। সবাই ভয় পেয়ে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা যা বলছেন বা করছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলে নিশ্চয়ই সে রকম করতেন না। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না।
আজ একটু হালকাও লাগছে। আমার পরিচিত কয়েক জনের সঙ্গে কথা হল। আমার বন্ধুদের কয়েক জনের সঙ্গে কথা হল। ওরা কেউ কিন্তু ভুল বোঝেনি। আমার এক বন্ধু আজ বলল, ‘‘আমরা জানি, তুই কেমন। তুই ও রকম কোনও ভুল করতে পারিস না, সেটা আর কেউ না জানুক, আমরা জানি।’’
আমি সত্যিই ভুল করিনি। আমি যদি ইউকে থেকে ফিরে সবার সঙ্গে মেলামেশা করতাম, তা হলে তো সবার আগে আমার মা-বাবা আক্রান্ত হতেন। তাঁদের রিপোর্ট কিন্তু নেগেটিভ এসেছে। আমি সতর্কই ছিলাম। আমি কাউকে সংক্রামিত করিনি। আমি সংক্রামিত কি না, আমার জানা ছিল না। তবু সতর্ক থেকেছি।
২২ মার্চ, দিন ৬
অঙ্কের দুনিয়াটা আমার খুব ভাল লাগে। অঙ্কে ডুবে থাকছি বেশ খানিকটা সময়। একটা খাতা নিয়ে এসেছি। আমার প্রফেসর একটা বই পড়ে ফেলতে বলেছিলেন। অ্যালজেবরা— বাই এম আর্টিন। মোবাইলেই বইটা পড়ছি। সময় নষ্ট করছি না।
আমি জানি, আমি সুস্থ হয়ে যাব। আমার যা বয়স, তাতে খুব অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। শুধু এখন হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকতে হবে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েনি। আমি নিজেও কখনও ভেঙে পড়ি না। বরং এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে নিতে চাই।
২৩ মার্চ, দিন ৭
টাইম উইল সে নাথিং বাট আই টোল্ড ইউ সো,
টাইম ওনলি নোজ দ্য প্রাইস উই হ্যাভ টু পে,
ইফ আই কুড টেল ইউ আই উড লেট ইউ নো...
ডব্লু এইচ অডেনের লেখা একটা কবিতা এটা। আজ পড়ছিলাম। নিজের মনে যা চলছে, তার সঙ্গে মেলাতে পারছি। সময় আগে থেকে কিছু বলে দেয় না ঠিকই, কিন্তু সময় হলে সবাই সব জানতে পারবেন। সবই প্রমাণ হবে। আমার নিজের যদি বলার সুযোগ থাকত, আমি সবাইকে বলতাম। সে সুযোগ আপাতত নেই। যদি কখনও সুযোগ পাই, তা হলে অবশ্যই বলব। সত্যিটা কী, মিথ্যেটা কী, বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করব।
২৪ মার্চ, দিন ৮
একটা মুভি দেখলাম— দ্য ম্যান হু নিউ ইনফিনিটি। মুভিটা রামানুজনকে নিয়ে। অঙ্ক আমার জীবন। তাই রামানুজনের জীবন, তাঁর কাজ, এ সব নিয়ে আমার খুব আগ্রহ। সম্পূর্ণ একা যখন থাকি, অঙ্কে মজে থাকি। এখনও মজে থাকার আদর্শ সময়।
পেটের গোলমালটা সেরে গিয়েছে। এখন আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ বোধ করছি। প্রথম ক’দিন হয়তো একটু হতাশ লাগছিল। কিন্তু ওটা একেবারেই সাময়িক। একটা অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, এ রকম অভিজ্ঞতা হয়তো গোটা জীবনে এক বারই হয়। কিন্তু জীবন তো অনেক বড়। আর যে পর্বটা এখন চলছে, সেটা তো ছোট্ট, সাময়িক। অনেকে হয়তো ভুল বুঝেছেন। সময় সে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে দেবে।
২৫ মার্চ, দিন ৯
ডাক্তার আর নার্সদের ব্যবহার কিন্তু খুব ভাল। আমাকে এক মুহূর্তের জন্য বুঝতে দেননি যে, আমি বাড়ি ছেড়ে এসে অপরিচিতদের মাঝে রয়েছি। রোজ তিন বার করে টেম্পারেচার চেক করা হয়। আমার অবশ্য জ্বর আসেনি। তাই টেম্পারেচার স্বাভাবিকই থাকছে। কাশিও আমার হয়নি। মাঝে পেটটা বিগড়েছিল। ওটা ছাড়া এ ক’টা দিন তেমন কোনও সমস্যা কিন্তু হয়নি। শুধু বিশ্রামে রয়েছি। সংক্রমণ পুরোপুরি কাটিয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করছি।
তিন দিন অন্তর পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও নেগেটিভ আসেনি। এখনও পর্যন্ত সব রিপোর্টই পজিটিভ। কিন্তু সংক্রমণ বোধ হয় কমছে। ডাক্তার বলছিলেন, আমাকে আর খুব বেশি দিন থাকতে না-ও হতে পারে। রিপোর্ট দেখে কিছু বুঝছেন মনে হয়।
২৬ মার্চ, দিন ১০
সারা দেশে লকডাউন হয়ে গিয়েছে জানতে পারলাম। আমি তো আগে থেকেই এখানে লক্ড ডাউন। আজ কবিতা পড়ছি। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা।
‘দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া/ কেবল শুনি রাতের কড়া নাড়া/ অবনী বাড়ি আছো?’
সত্যিই। গোটা দেশটাই যেন দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘুমিয়ে পড়াটা দরকারও। শুধু দেশটাকে নয়, গোটা পৃথিবীটাকে এখন দুয়ার এঁটে ভিতরে থাকতে হবে।
গোটা পৃথিবীতে একটা সাঙ্ঘাতিক যুদ্ধ চলছে। খুব অনিশ্চয়তার সময়। আমাদের শত্রু অদৃশ্য। তাকে আমরা একসঙ্গে হারাতে পারি, একে অপরকে সাহায্য করে।
২৭ মার্চ, দিন ১১
দ্য শশ্যাঙ্ক রিডেম্পশন। একটা হলিউড মুভি। অনেক শুনেছি মুভিটার কথা। দেখা হয়ে ওঠেনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে দেখে নিলাম।
এটাও একটা বন্দিদশার গল্প। স্ত্রী ও স্ত্রীয়ের বয়ফ্রেন্ডকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। যুবক বার বার বলেছিলেন, তিনি খুন করেননি। কিন্তু প্রমাণ করতে পারেননি যে, তিনি নিরপরাধ। সারা জীবনের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। শশ্যাঙ্ক কারাগারে তাঁকে বন্দি করা হয়। সেই বন্দি জীবনের গল্প, কারাগারের ভিতরের গল্প।
প্রথমে মুভিটা বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে পারেনি। কিন্তু সেই ছবিই অস্কারে সাতটা নমিনেশন পায়। খুব হইহই শুরু হয়। আবার সিনেমাটাকে নতুন করে রিলিজ করা হয়েছিল।
২৮ মার্চ, দিন ১২
ক্লান্তিটা প্রায় পুরোটাই কেটে গিয়েছে। মনে হচ্ছে ঘুমের যা ঘাটতি ছিল, এই ক’দিনেই বোধ হয় সেটা পুষিয়ে নিয়েছি।
বাড়িতে থাকলে শুতে বেশ রাতই হয়। এখানে তো ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে শুয়ে পড়ছি। সকালে ৮টা নাগাদ উঠছি। দুপুরেও ঘুমনোটা কেমন যেন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেল। বাড়িতে যে সব ছুটির দিনে কিচ্ছু করার থাকত না, সেই সব দুপুরে হয়তো ঘুমোতাম। এখানে রোজ ঘুমোচ্ছি। ঘুম হচ্ছেও বেশ।
ভালই হচ্ছে। রিফ্রেশড হয়ে ফিরব।
আজ আবার স্যাম্পল নিয়ে গিয়েছে। টেস্টের জন্য। রিপোর্ট এখনও আসেনি।
২৯ মার্চ, দিন ১৩
আজ অনেকটা ফুরফুরে লাগছে। গতকাল যে স্যাম্পল নিয়েছিল, তার টেস্ট রিপোর্ট আজ এসেছে। রিপোর্ট নেগেটিভ।
এই হাসপাতালে আসার পর থেকে তিন দিন অন্তর এক বার করে পরীক্ষা হচ্ছিল। সব টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ ছিল। আজ প্রথম রিপোর্ট নেগেটিভ এল। খুব ভাল লাগছে।
ডাক্তার বলেছিলেন, আর খুব বেশি দিন থাকতে হবে না মনে হচ্ছে। কেন বলেছিলেন, আজ বুঝতে পারছি।
৩০ মার্চ, দিন ১৪
আবার টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এল। আমার শরীরে আর করোনা সংক্রমণ নেই। ডাক্তাররা নিশ্চিত।
এ বার মনে হচ্ছে বাড়ি ফিরব। কালকে আমাকে রিলিজ করা হবে বলে শুনছি। ১৪ দিনেই আমি সেরে উঠেছি।
কিন্তু গোটা দেশ এখন লড়ছে। আমার সঙ্গে কারও কথা হলে আমি আমার অভিজ্ঞতা তাঁকে জানাব। সতর্ক থাকলে আর সময় মতো চিকিৎসা করালে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ১৪টা দিন হাসপাতালে কাটিয়ে ফেলার পরে মনে হচ্ছে, আমি কিন্তু ভয় পাইনি। শুরুতে অন্য কয়েকটা কারণে একটু খারাপ লেগেছিল। কিন্তু ভয় লাগেনি।
আমাদের দেশকেও ভয় না পেয়েই লড়তে হবে। সতর্ক থাকলেই আর নিয়মগুলো মেনে চললেই কিন্তু এই রোগটাকে হারিয়ে দেওয়া যায়। সুযোগ পেলে আমার অভিজ্ঞতা আমি অন্যদের জানাব। কারও কাজে লাগলে আমার ভাল লাগবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy